সংবাদদাতা, কাটোয়া : কালীর সঙ্গে কৃষ্ণ, শাক্তের সঙ্গে বৈষ্ণবের গাঁটছড়া বেঁধেছে গঙ্গাপাড়ের দাঁইহাট শহরের রাস উৎসব। সম্প্রীতি আর সৌহার্দ্যের বাতাবরণে নজরকাড়া দাঁইহাটের রাস। ১৫০০ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে রাস উৎসবের সূচনা। ইতিহাস গবেষক রণদেব মুখোপাধ্যায় বলেন, দাঁইহাট বা নবদ্বীপ, শান্তিপুরে রাস উৎসবের সূচনায় মূর্তিপুজো হত না। তান্ত্রিক সাধকরা কালীঠাকুরের পট তৈরি করে পূর্ণিমার দিন শোভাযাত্রা করতেন। এলাকার বাসিন্দারা তাঁদের ‘পটুয়া তান্ত্রিক’ বলতেন।
আরও পড়ুন-বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য ২৫ বছরেও কাজ করেননি, এক মাসে সমস্যার সমাধান আশ্বাস তৃণমূল বিধায়কের
পট নিয়ে দাঁইহাটে শেষ শোভাযাত্রা হয় ১৯৫১ সালে। নেতৃত্ব দেন স্থানীয় পাতাইহাটের কবিরাজ ও সাধক পূর্ণচন্দ্র আচার্য। দাঁইহাটের রাসযাত্রায় শাক্তদের পাশাপাশি বৈষ্ণবদের যোগদান লক্ষণীয়। এখানকার উৎসবে কালীপুজোই বেশি হয়। উল্লেখযোগ্য শবশিব, বড়কালী, কায়েতকালী, গণেশ জননী, উগ্রচণ্ডী, কাত্যায়নী, আনন্দময়ী প্রভৃতি। দাঁইহাটবাসী রাজবংশী সম্প্রদায়ের উপাস্য শবশিবকে খুব জাগ্রত মনে করেন। রাজবংশী তন্ত্রসাধক ভগীরথ সিংহ সূচনা করেন।
আরও পড়ুন-মথুরাপুরে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তৈরি হল আধুনিক আন্তঃবিভাগ
চৈতন্য-চেতনার পথ ধরে শাক্তদের পিছনে ঠেলে বৈষ্ণব ঘরানার রাস দাঁইহাটের প্রধান আকর্ষণ হয়ে ওঠে। বর্তমানের থিম, আলোকসজ্জা, মণ্ডপের বাহারের মূলে রয়েছে বৈষ্ণবীয় রাসেরই রমরমা। সূচনা চন্দ্র পরিবারের হাত ধরে। এবার উৎসবকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে সতর্ক পুলিশ। দাঁইহাটের রাস ও কাটোয়ার কার্তিক পুজো নিয়ে একটি স্মারকও প্রকাশ করেছে পুলিশ।