শান্তিনিকেতনে পৌষমেলা হচ্ছে না, আন্দোলনের পথে ব্যবসায়ী সমিতি

Must read

সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : এবারেও পৌষমেলা (Poush Mela) হচ্ছে না। ঠিক হয়েছিল ছোট মাপে করা হবে। শেষমেশ তাও বাতিল। এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী সমিতি আন্দোলনের পথে। সোমবার কর্মসমিতি, শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট, সমস্ত ভবনের অধ্যক্ষ, আধিকারিকরা বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে মেলার বিপক্ষে রায় দেয়। ট্রাস্ট ও বিশ্বভারতী যৌথ বিবৃতিতে জানায়, এত স্বল্প সময়ে মেলা আয়োজন করা সম্ভব নয়। প্রধান কারণ, অনলাইন বুকিংয়ের জন্য খড়্গপুর আইআইটি থেকে সফ্টঅয়্যার চেয়ে পাঠালেও আসেনি। একইভাবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদেরও সাড়া মেলেনি। ভুবনডাঙার চারটি বাঁধ পরিষ্কার করা বিশ্বভারতীর পক্ষে সম্ভব নয়। ছোট করে মেলা করা অবাস্তব, এই যুক্তিতে আগেই আপত্তি করেছিল শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট।
ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার বলেন, এটা খুবই স্বাভাবিক, মেলা না হওয়ায় ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হবে। কিন্তু কিছু করার নেই। সফ্টঅয়্যার না থাকলে বুকিং কী করে হবে? ব্যবসায়ী সমিতি ও বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ মেলার দাবিতে বিশ্বভারতীর কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়। কবিগুরু মার্কেট হস্তশিল্প ব্যবসায়ীর তরফে আমিনুল হোদা বলেন, মেলা (Poush Mela) না হওয়ায় আমাদের খুব ক্ষতি হবে। আগামীকাল থেকে আন্দোলনে নামব।
প্রবীণ আশ্রমিক সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মনখারাপের খবর। কিন্তু কিছু করার নেই। বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট যেটা বলেছে, অযৌক্তিক কিছু নয়। তবে আশা করব, আগামী বছর পৌষমেলা হবে। মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, আজকেই তো শুনলাম। দেখা যাক।
উল্লেখ্য, ২০১৯-এর পর বিশ্বভারতী বা ট্রাস্টের উদ্যোগে পৌষমেলার আয়োজন হয়নি। ২০ এবং তার পরের বছরও করোনার কারণে মেলা করেনি বিশ্বভারতী বা ট্রাস্ট। পুরসভার অনুমতি ক্রমে ডাকবাংলো মাঠে ছোট আকারে মেলা বসে।

আরও পড়ুন- স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফেরানো নিয়ে কড়া বার্তা হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিকে

Latest article