সংবাদদাতা, পুরুলিয়া : লকডাউনের সময় জেলার মানুষকে কাজ দিতে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে মাটির সৃষ্টি কর্মসূচি নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতেই দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে পুরুলিয়ায়। সম্প্রতি নীতি আয়োগ প্রকাশিত ‘ন্যাশনাল মাল্টি ডায়মেনশনাল পভার্টি ইনডেক্স রিভিউ ২০২৩-এর তথ্য অনুযায়ী ২০১৫-’১৬ সালে পুরুলিয়ায় দারিদ্র্যের হার ছিল ৪৯.৬৯ শতাংশ, বর্তমানে ২৬.৮৪। ২০১৯-’২০ সালেই এই সাফল্য এসেছে। ওই সময়েই মাটির সৃষ্টি শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-ছেলের ভাতের থালায় লাথি মারল বিজেপির দুষ্কৃতীরা
লকডাউনের সময় ভিনরাজ্য থেকে ফেরা বিপুল সংখ্যক মানুষকে কাজ দিতে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, একশো দিনের কাজের প্রকল্পে এমন সম্পদ সৃষ্টি করা হবে, যা ধারাবাহিকভাবে আয় দেবে। পশ্চিমাঞ্চলের অনুর্বর, রুক্ষ জমিগুলিকে চিহ্নিত করে শুরু হয়েছিল প্রকল্প। ছোট ছোট ট্রেঞ্চ কেটে বর্ষার জল ধরে রাখা হয়েছিল। লাগানো হয়েছিল বিভিন্ন গাছ। পাশাপাশি স্বনির্ভর দ্লগুলিকে দিয়ে সবজিচাষ এবং ছোট পুকুর কেটে মাছচাষের ব্যবস্থা করা হয়। কাশীপুরের পাহাড়পুর, মানবাজারের হাতিপাথর, পুঞ্চার বদড়ায় প্রকৃতি পর্যটনক্ষেত্র গড়ে ওঠে। সেখানেও মাছচাষ, হাঁস-মুরগি পালন, পর্যটকদের জন্য রেস্তরাঁ তৈরি হয়। স্বনির্ভর দলগুলির উৎপাদিত সবজি বাজারে বিক্রির ব্যবস্থা করে জেলা প্রশাসন। ফলে বহু মানুষ নতুন আয়ের সুযোগ পেয়েছেন।
আরও পড়ুন-পঞ্চায়েতে ভাল ফলের পর হুগলিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব চান, উন্নয়নের লক্ষ্যে শক্তিশালী বোর্ড গঠন
তৃণমূল পুরুলিয়া জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে যে পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে, সেখানে আর সরকারি সহায়তা লাগছে না। অথচ মানুষ নিয়মিত আয় পাচ্ছেন। কেন্দ্র একশো দিনের কাজের টাকা আটকে না রাখলে আরও বহু এমন পরিকাঠামো গড়া যেত।