প্রাণকৃষ্ণের শিল্পজাদু, শস্যের দানায় আদিবাসী জীবন

ওঁকে বেশি টানে অণুশিল্প বা মাইক্রোআর্ট। কখনও খেজুর বীজে মহাকরণ। কখনও সুপুরিতে রাইসিনা হিলের রাষ্ট্রপতি ভবন।

Must read

দেবর্ষি মজুমদার, রামপুরহাট: বিপুলা পৃথিবী শুধুমাত্র একটি শস্যদানায়! এত ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ক্যানভাসে জীবনের এমন ছবি যাঁর তুলিতে, তিনি সম্প্রতি দেশীয় ম্যাজিক বুক রেকর্ডস ও আন্তর্জাতিক হার্ভার্ড ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের অধিকারী। নাম প্রাণকৃষ্ণ সিমলান্দি। সরকারি চাকুরে। রামপুরহাটের জীবনানন্দ পল্লিতে বাস। আদি বাড়ি বসোয়া গ্রামে। গ্রামের পাঠশালায় শিক্ষকের কাছে হাতেখড়ি। বাবা রাধাশ্যাম সিমলান্দি ও মা রেবতী দেবীর হাত ধরেই শিল্পীজীবনে প্রবেশ। পড়াশোনা বিষ্ণুপুর রসমঞ্জরী উচ্চ বিদ্যালয়ে। শিল্পগুরু উমাপ্রসন্ন মজুমদার, প্রতাপকান্ত পণ্ডিত, সুমিত গুহ, কাজিলাল সিদ্দিকির মতো গুণী শিল্পী।

আরও পড়ুন-পুরুষচর্চা

তুলির কাজ খুব ছোট্ট বয়স থেকেই। ওঁকে বেশি টানে অণুশিল্প বা মাইক্রোআর্ট। কখনও খেজুর বীজে মহাকরণ। কখনও সুপুরিতে রাইসিনা হিলের রাষ্ট্রপতি ভবন। ১১ সালে সুপুরিতে রাইসিনা হিল দেখে তদানীন্তন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল তারিফ করেন। তাঁর সৃষ্টি প্রদর্শনীর জন্য রাখা আছে সংসদ মিউজিয়াম, রাষ্ট্রপতি ভবনের মিউজিয়াম ও জাতীয় জাদুঘরে। উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় দেশ-বিদেশের সম্মান প্রাপ্তির কথা শুনে উচ্ছ্বসিত। কুমড়োর বিচির উপর মা দুর্গার প্রতিকৃতি এঁকে ম্যাজিক বুক অফ আর্ট সংস্থার মন কাড়েন তিনি। সম্প্রতি দিল্লির ফরিদাবাদে পুরস্কৃত হন। সেখান থেকে ফিরেই হার্ভার্ড ওয়ার্ল্ড রেকর্ড স্বীকৃতি। এখন ছোট্ট শস্য দানায় আদিবাসী জীবন বা ডান্ডি অভিযানের মতো সমগ্র ক্যানভাস তুলে ধরছেন। যা দেখে মনে হতে পারে যথার্থই বিন্দুতে সিন্ধুদর্শন।

Latest article