সংবাদদাতা, মালদহ : সাংগঠনিক সভাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে এল বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। প্রকাশ্যে সাংসদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। এই ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। দলীয় সংগঠনকে চাঙ্গা করতে বিজেপির পক্ষ থেকে সাংগঠনিক সভার আয়োজন করা হয়েছিল। মালদহের হরিশচন্দ্রপুর ধর্মশালায়। সেই সভায় এলাকার বিজেপি নেতৃত্বের প্রতি একরাশ ক্ষোভ উগরে দেয় দলীয় নেতা-কর্মীরা। উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদের সামনে ক্ষোভ দেখান দলের নিচুতলার নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন-ভেষজ আবিরে স্বনির্ভর মহিলারা
এমনকি দলের নিষ্ক্রিয় কর্মীদের উঁচু পদে রাখা হচ্ছে অথচ সক্রিয় কর্মীদের কোনও স্থান নেই এমনটাই অভিযোগ তোলা হয় এই কর্মিসভায়। আর এর জেরে হরিশচন্দ্রপুর বিজেপিতে গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এল। দলের কর্মসূচি সম্পর্কে নিচুতলার কর্মীদের ওয়াকিবহাল করা হচ্ছে না। সক্রিয় কর্মীদেরকে দূরে সরিয়ে নিষ্ক্রিয় কর্মীদের জায়গা দেওয়া হচ্ছে দলের বিভিন্ন পদে। দলের সাংসদ খগেন মুর্মু প্রথমে বিষয়টি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও পরে বলেন, ‘‘মান অভিমান থাকতেই পারে। আমরা সব আলোচনা করে মিটিয়ে নেব।’’
আরও পড়ুন-বালিপাচার রুখতে আসরে এসডিও
দলনেতারা নিজেদের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে দলীয় কোন্দল ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও প্রকাশ্যে এই কাদা ছোঁড়াছুঁড়িকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। স্বাভাবিকভাবে বিরোধীরা বলছে, সমন্বয়ের অভাবই বিজেপির পতনের অন্যতম কারণ। উন্নয়ন না করে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে এই দল। এবার তাদের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসছে। আসলে শাক দিয়ে যে বেশিদিন মাছ ঢাকা যায় না তা বিজেপির দলীয় নেতারাই বারবার প্রমাণ করছেন। এই কারণেই সমর্থন হারিয়ে কোণঠাসা হয়েছে দলটি।