সংবাদদাতা, বকখালি : বিপন্ন সুন্দরবন। বিপন্ন সামুদ্রিক প্রাণীরা। সামুদ্রিক প্রাণীদের রক্ষা করলেই রক্ষা পাবে জীববৈচিত্র ও পরিবেশ। নতুন বছরের শুরুতে বকখালি সমুদ্র সৈকতে বালি-ভাস্কর্যের মাধ্যমে এমনই বার্তা তুলে ধরলেন একদল ভাস্কর। বালি দিয়ে তৈরি করা হল কুমির, কচ্ছপ, অক্টোপাস-সহ নানান জলজ জীব।
আরও পড়ুন-বালিবোঝাই লরির জন্য বেহাল রাস্তা
নতুন বছরে ভিড়ে ঠাসা বকখালিতে এমনই ভাস্কর্য দেখতে পর্যটকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। পঞ্চরথী নামের একটি আর্টিস্ট গ্রুপের একুশ জন শিল্পী নতুন বছরের প্রথম দিনেই বকখালির সমুদ্রতটে একাধিক বালি-ভাস্কর্য তৈরি করে সুন্দরবন বাঁচানোর বার্তা দিলেন। শিল্পীরা সারিবদ্ধভাবে সমুদ্রতটে থাকা সাদা বালি দিয়ে কুমির, কচ্ছপ-সহ একাধিক ভাস্কর্য তুলে ধরেছেন। বাদ যায়নি বাঙালির আবেগও। ইউনেস্কো দ্বারা সম্মানিত দুর্গামূর্তিও তুলে ধরা হয় বালি দিয়ে। এ বিষয়ে পঞ্চরথী আর্ট গ্রুপের সভাপতি তন্ময় হালদার বলেন, একুশ জন সদস্য মিলে এই বালি ভাস্কর্যগুলি বকখালির সমুদ্র সৈকতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন-খুন চাপা দিতে জাতপাতের তত্ত্ব
সুন্দরবনকে রক্ষা করার বার্তা দিতে এই উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। বেড়াতে আসা অনেক পর্যটক এই সমস্ত ভাস্কর্যের সঙ্গে সেলফিও তোলেন। বছরের শুরুতে বকখালি পর্যটন কেন্দ্রে বেড়াতে এসে বালির তৈরি ভাস্কর্যগুলি বাড়তি পাওনা ছিল পর্যটকদের কাছে। সোদপুর থেকে আসা এক পর্যটক মিতালি কুণ্ডু বলেন, বকখালিতে আগেও এসেছি। কিন্তু বালির ভাস্কর্য দেখিনি। বিষয়টি শুধু নতুন নয়। সুন্দরবন রক্ষার বার্তাও দিয়েছেন শিল্পীরা। আমরা চাইব পুরীর সমুদ্র সৈকতের মতো নিয়মিত এই ভাস্কর্য এখানে ফুটিয়ে তোলা হোক।