রূপেশ খাঁ, বাঁকুড়া: পূজা মণ্ডলের বয়স মাত্র ২১। সদ্য গাড়ি চালানোর লাইসেন্স হাতে পেয়েছেন। আর পেয়েই জয় রাইড নয়, শববাহী গাড়ির (Hearse Van) চালকের আসনে বসে মৃতদেহ নিয়ে এলেন বড়জোড়ায়। গৃহশিক্ষক তথা স্বেচ্ছা রক্তদান আন্দোলনের কর্মী কাঞ্চন বিদের শিষ্যা পূজা করোনা–কালে দেখেছিলেন, তাঁদের সংগঠনের শববাহী গাড়ি চালানোর লোক মেলেনি। কাঞ্চন নিজে বহুসময় গাড়ি চালিয়ে মৃতদেহ দাহ করতে নিয়ে গিয়েছেন। তখন থেকেই সহকারী হিসেবে পাশে থাকতেন পূজা। এরই ফাঁকে গাড়ি চালানো শিখে নেন। অপেক্ষা ছিল লাইসেন্স হাতে পাওয়ার। আর তা পেয়েই স্টিয়ারিং হাতে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে মৃতদেহ নিয়ে এসে আত্মীয়–পরিজনের হাতে তুলে দিলেন পূজা। বাবা সাধন মণ্ডল ও মা টুম্পাও গর্বিত মেয়ের এই কীর্তিতে। যদিও মেয়ে ডানপিটে বলে কত লোক কত বাঁকা কথা শুনিয়েছে একসময়। বিধায়ক অলক মুখোপাধ্যায় জানান, ‘‘পূজার জন্য আমরা গর্ব অনুভব করি।’’ পূজা জানালেন, ‘‘এই শববাহী গাড়ি (Hearse Van) চালকের সমস্যা দেখেই আমার জেদ চেপে যায়।’’
আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে মন্ত্রীর নামে মিথ্যা অভিযোগ তোলার জবাবে বিজেপি সাংসদকে আইনি নোটিশ