প্রতিবেদন : রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের শনিবার ছিল তৃতীয় দিন। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের সংবাদমাধ্যম রাশিয়াকে ইউক্রেন আক্রমণকারী হিসেবে উল্লেখ করেছে। ব্যতিক্রম নয় রাশিয়ার বেশকিছু সংবাদমাধ্যমও। এই পরিস্থিতিতে এবার দেশের মিডিয়ার কণ্ঠরোধে উদ্যত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)।
আরও পড়ুন – দেশ বাঁচাতে বিস্ফোরণে নিজেকেই ওড়ালেন
রাশিয়ার সরকারি সংস্থা রোসকোমনাজর শনিবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছে, কোনও মিডিয়া যেন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সেনা অভিযানকে যুদ্ধ ঘোষণা, আগ্রাসন বা হামলা বলে উল্লেখ না করে। যুদ্ধের খবর মিডিয়া প্রকাশ করতেই পারে। কিন্তু প্রতিবেদনে যেন কোনওভাবেই রাশিয়াকে আক্রমণকারী বলে চিহ্নিত করা না হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে রোসকোমনাজর আরও বলেছে, একাধিক মিডিয়া রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব নিয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর খবর প্রকাশ করছে। বেশ কয়েকটি স্বাধীন সংবাদমাধ্যম এমন তথ্য প্রচার করছে যা জনসমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। অবিলম্বে এসব বন্ধ করতে হবে।
ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, মূলত ‘ইকো অফ মস্কো’ এবং ‘ডোজধ’-সহ বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমকে নিশানা করেছে পুতিন (Vladimir Putin) সরকার। ‘ইকো অফ মস্কো’ এবং ‘ডোজধ’ – হল রাশিয়ার দু’টি স্বাধীন টেলিভিশন চ্যানেল। নিরপেক্ষ সংবাদমাধ্যম হিসেবে এই টেলিভিশন চ্যানেল দু’টি রাশিয়ায় খুবই জনপ্রিয়। অন্যদিকে রোসকোমনাজর হল রাশিয়ার একটি জাতীয় সংস্থা। এই সংস্থাটি দেশের সব মিডিয়া ও তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার উপর নজরদারি চালায়।