রেলে যাত্রীসুরক্ষার বরাদ্দ টাকা বিলাসের সামগ্রী কিনতে খরচ!

Must read

নয়াদিল্লি : রেলের (Rail) নিরাপত্তার জন্য বরাদ্দ করা অর্থ খরচ করা হয়েছে সম্পূর্ণ অন্য খাতে। নানা বিলাসের সামগ্রী কেনা হয়েছে ওই অর্থে। খরচের আগে একবারও ভাবা হয়নি যাত্রীসুরক্ষার কথা। এমনটাই জানিয়েছে ক্যাগ রিপোর্ট। কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (ক্যাগ) দেওয়া একটি অডিট রিপোর্টে এই বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

২০১৭ সালে মোদি সরকার রেলপথের (Rail) নিরাপত্তা ও যাত্রী সুরক্ষার মানোন্নয়ন করতে একটি বিশেষ তহবিল গড়েছিল। কিন্তু ওই তহবিলের অর্থ সুরক্ষা ও নিরাপত্তার কাজে লাগানো হয়নি। পরিবর্তে ওই অর্থ ফুট ম্যাসাজার, দামি ক্রকারিজ, বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র, শীতকালীন জ্যাকেট, কম্পিউটার এবং এসকেলেটর তৈরি, টয়লেট তৈরি, বেতন ও বোনাস প্রদান এবং পতাকা উত্তোলনের জন্য স্তম্ভ তৈরি করতে অপব্যবহার করা হয়েছিল। ২০১৭-১৮ সালের বাজেট প্রস্তাবে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছিলেন, যাত্রীসুরক্ষার জন্য পাঁচ বছরের মধ্যে ১ লক্ষ কোটি টাকার একটি রাষ্ট্রীয় রেল সুরক্ষা তহবিল গঠন করা হবে। সরকারের কাছ থেকে প্রাথমিক মূলধন ছাড়াও রেল তাদের নিজস্ব রাজস্ব এবং অন্যান্য উৎস থেকে অর্থ সংস্থান করবে। কিন্তু ক্যাগ রিপোর্ট বলছে, ২০১৭-১৮ থেকে ২০২০-২১ পর্যন্ত ৪৮ মাস সময়ের মধ্যে ১১৪৬৪টি ভাউচারের একটি র‍্যানডম অডিট স্ক্রুটিনিতে দেখা গিয়েছে সুরক্ষা তহবিলের ৪৮.২১ কোটি টাকা সম্পূর্ণ অন্য খাতে খরচ করা হয়েছে। এটি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট জোনের দুটি ডিভিশনের তথ্য। এরকম আরও আছে। ভিন্ন খাতে অর্থ খরচ রাষ্ট্রীয় রেল সুরক্ষা যোজনার মূল নীতিগুলিকে লঙ্ঘন করেছে। রেলের সামগ্রিক হিসেবে এই প্রতারণা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। ক্যাগ রিপোর্টে স্পষ্ট, রেলের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা সম্পূর্ণ অসঙ্গতিপূর্ণ ক্ষেত্রে অর্থ ব্যয় করছেন। ২০১৭-১৮ সালে রাষ্ট্রীয় রেল সুরক্ষা যোজনায় অগ্রাধিকারহীন কাজের অংশ ছিল ২.৭৬ শতাংশ। ২০১৯-২০ সালে যা বেড়ে হয় ৬.৩৬ শতাংশ। ২০১৯-২০ সালে এই তহবিল থেকে ১০০৪ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়। কিন্তু সরকারি নির্দেশিকাকে উপেক্ষা করে সম্পূর্ণ ভিন্ন খাতে এই অর্থ খরচ করা হয়েছিল। যাত্রীসুরক্ষার বদলে রেলকর্মীদের ব্যক্তিগত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ও বিলাসের সামগ্রী কিনতেই ওই অর্থ কার্যত অপচয় করা হয়।

আরও পড়ুন- বাসে বিনা টিকিটের যাত্রীদের পাকড়াও করতে বিশেষ অভিযানে রাজ্য পরিবহন দফতর

Latest article