রেল হাসপাতাল বেসরকারি হাতে

প্রথমত, মূল পরিচালন ব্যবস্থা রেলের হাতে রেখে বিশেষ কয়েকটি বিভাগের দায়িত্ব বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া।

Must read

প্রতিবেদন : কেন্দ্রীয় সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত একাধিক সংস্থাকে বিক্রি করে দেওয়ার পথে এগোচ্ছে। এই ব্লুপ্রিন্ট তৈরিও হয়ে গিয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল ভারতীয় রেলের একাধিক উন্নত মানের হাসপাতাল। মুখে পিপিপি মডেলের কথা বলা হলেও বাস্তবটা হল ধাপে ধাপে হাসপাতালকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া। অর্থাৎ রেলওয়ে কর্মচারী অথবা তাঁদের আত্মীয়পরিজনেরা যে সুবিধা পেতেন আগামীতে তার থেকে বঞ্চিত হবেন। সব মিলিয়ে রেলকে পঙ্গু করে দেওয়া আর এক চক্রান্তের ধাপ।

আরও পড়ুন-চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফের রিয়াল-চেলসি দ্বৈরথ, ভিয়ারিয়ালের বিরুদ্ধে দু’গোলে জয় চাই বায়ার্নের

পিপিপি মডেলে বাংলার রেলওয়ে হাসপাতালগুলিকে নতুন রূপ দেওয়ার ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে তলায় তলায়। এ ব্যাপারে কমিটিও গঠন করেছে রেল বোর্ড। সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র বলেন, পিপিপি মডেলের নামে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তির সুরক্ষা নয়। বরং বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। রেল বোর্ডের সার্কুলারে চিফ মেডিক্যাল ডিরেক্টরদের পরিকাঠামো নিয়ে রিপোর্ট তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে দু’টি সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন-মাওবাদী সঙ্গ ত্যাগ করে শান্তিপূর্ণ ভোটের দায়িত্বে

প্রথমত, মূল পরিচালন ব্যবস্থা রেলের হাতে রেখে বিশেষ কয়েকটি বিভাগের দায়িত্ব বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া। দ্বিতীয় সম্ভাবনা, সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে রেল হাসপাতালগুলির আধুনিকীকরণ এবং মানোন্নয়ন। লক্ষণীয়, মুখ্যমন্ত্রীর গুরুদায়িত্ব গ্রহণ করার আগে একাধিকবার রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসময় বাংলার রেল হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতির জন্য বিশেষ পদক্ষেপ করেছিলেন তিনি। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিতে সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছিল এই হাসপাতালগুলি। কিন্তু কখনও বেসরকারীকরণের কথা ভাবনাতেও আনেননি তিনি। সম্পূর্ণ রেলের তত্ত্বাবধানেই চলেছিল আধুনিকীকরণের কাজ। অথচ নরেন্দ্র মোদি আধুনিকীকরণের নামে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন বেসরকারি উদ্যোগকেই। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই রেলের বিভাগীয় কর্তাদের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। কিন্তু বেসরকারীকরণের আশঙ্কা ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী মহলে।

Latest article