কলম্বো, ১০ সেপ্টেম্বর : বৃষ্টি কিছুতেই পিছন ছাড়ল না ভারত-পাক ম্যাচের! ক্যান্ডির পর এশিয়া কাপে এই দু’দলের দ্বিতীয় ম্যাচও রবিবারের মতো পণ্ড হল কয়েক দফার বৃষ্টিতে। শেষবার রাত সাড়ে আটটায় মাঠ পরিদর্শনের পর আম্পায়াররা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ওভার কমিয়ে ম্যাচ শেষ করার। কিন্তু সেই প্রচেষ্টায় আবার জল ঢেলে দেয় স্থানীয়দের ভাষায় বালাগোলা রেন।
আরও পড়ুন-দাদু-ঠাম্মার ইতিকথা
তবে এই ম্যাচ একেবারে শেষ হয়নি। যেখানে এদিন খেলা থামল, সেখান থেকেই সোমবার রিজার্ভ ডে-তে খেলা শুরু হবে। ২৪.১ ওভারে ভারতের রান আপাতত ১৪৭/২। বিরাট কোহলি ৮ ও কে এল রাহুল ১৭ রানে নট আউট রয়েছেন। বাকি ২৫.৫ ওভারে ভারত কত রান করবে তার উপর এই ম্যাচের ভাগ্য অনেকটা নির্ভর করছে।
৮০-৯০ শতাংশ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলেছিল হাওয়া অফিস। কিন্তু খেলা শুরু হয়েছিল রোদ্দুরের নিচে। তাহলে কি কলম্বোর সব বৃষ্টি উধাও হয়ে গেল? এসব ভাবনার মধ্যেই আকাশ কালো করে মেঘ ফেরত এল প্রেমদাসা স্টেডিয়ামের মাথায়। তারপর ঝমঝমিয়ে এমন বৃষ্টি নামল যে, খেলা বন্ধ থাকল দীর্ঘ সময়। আম্পায়াররা দফায় দফায় মাঠ পরিদর্শন করলেন। কিন্তু খেলা শুরু করা যায়নি।
আরও পড়ুন-দুটি অনবদ্য ছোটদের বার্ষিকী
এমনিতেই ৩০ গজ সার্কেলের মধ্যে দুটি স্পট নিয়ে তাঁরা উদ্বিগ্ন ছিলেন। সেখানে ফ্যান চালানো থেকে শুরু করে স্পঞ্জ দিয়ে জল তোলার মতো সবরকম প্রচেষ্টা জাতীয় থাকল। বেলচা দিয়ে কাদা তুলে ছড়ানো হল কাঠের গুঁড়ো। তবে এই পরিস্থিতিতে দুই অধিনায়ককে দেখে মনে হয়েছে তাঁরা সুপার ঘরের এই ম্যাচ এদিনই শেষ করতে চান। কিন্তু বিশ্বকাপের আগে ক্রিকেটারদের চোট লাগার ব্যাপারটাও মাথায় রাখতে হয় আম্পায়ারদের। তবে এরপর আবার বৃষ্টিতে শেষ ভাবনা কাজে লাগেনি।
আরও পড়ুন-রাজভবনে মুখ্যসচিব, খোঁজ নিলেন আটকে থাকা ফাইলের
এদিন তিন ফাস্ট বোলারে ভর করে টসে জিতে আগে বল করতে নিয়েছিলেন বাবর আজম। কিন্তু রোহিত আর শুভমন যেভাবে শুরু করেছিলেন তাতে পাক অধিনায়কের যাবতীয় পরিকল্পনা রসাতলে গেল। অন্তত দুই ওপেনার যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন, ততক্ষণ পাক ফাস্ট বোলারদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে রোহিতের হাতে আরও বেশি পিটুনি খেয়েছেন অফ স্পিনার শাদাব খান।
ম্যাচের আগে উইকেট দেখে সঞ্জয় মঞ্জরেকর ও ওয়াকার ইউনিস বলছিলেন, এটা ব্যাটিং ট্র্যাক। রোহিতও বললেন, তিনি টসে জিতলে আগে ব্যাটিং নিতেন। কিন্তু আগের ক’টা দিন এখানে বৃষ্টি হওয়ায় বাবর সম্ভবত সেই ময়েশ্চারের খোঁজে ছিলেন। যা আদতে ছিল না। থাকলে আফ্রিদি আগের ম্যাচের মেজাজেই বল করতে পারতেন।
আরও পড়ুন-তারাপীঠে হবে অত্যাধুনিক দমকল কেন্দ্র গাড়ি থাকবে সর্বক্ষণ, জানালেন মন্ত্রী
ভারত যখন প্রথম উইকেট হারাল, বোর্ডে ১৬.৪ ওভারে ১২১/১। রোহিত ফিরে গেলেন ৪৯ বলে ৫৬ রান করে। এটা তাঁর ৫০তম হাফ সেঞ্চুরি। শাদাবকে কভারের উপর খেলতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাটের মুখ সোজা থাকায় চলে গেল লং অনে। ৭ বল পরেই ছিল শুভমন। ৫২ বলে ৫৮ রান করে ফেরত গেলেন শাহিনের বলে। শুভমনের কপাল ভাল যে কয়েকটা ক্যাচ পড়েছে। না হলে তাঁর ইনিংস এতক্ষণ স্থায়ী হয় না।
সুপার ফোরের এই ম্যাচ যখন শুরু হল, আকাশে রোদ্দুর। কিন্তু ভারতের রান ২৪.১ ওভারে ১৪৭/২ ওঠার পর শুরু হয়ে যায় বৃষ্টি। উইকেটে তখন বিরাট ও রাহুল। দ্বিতীয়জন শ্রেয়স আয়ারের বদলে এসেছেন। রোহিত টসের সময় বলছিলেন, শ্রেয়সের ব্যাক স্প্যাজম হয়েছে। রাহুল চার মাস বাদে ভারতের হয়ে নামলেন। তাঁকে ইনিংসের শুরু থেকে সাবলীল লেগেছে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
রোহিত শুরুতে একটা দিক আগলে রেখেছিলেন। উল্টোদিকে আক্রমণে যান শুভমন। রোহিত অবশ্য পরের দিকে বেধড়ক ঠেঙানি দিলেন শাদাবকে। তাঁর ইনিংসে ছ’টি বাউন্ডারি ও চারটি ছক্কা রয়েছে। শুভমন হাঁকিয়েছেন দশটি বাউন্ডারি। কপাল যথেষ্ট সহায়তা করলেও পাঞ্জাব ওপেনার এদিন পাক সিমারদের জায়গা দেননি। একমাত্র নাসিম দুই ভারতীয় ওপেনারের কাছ থেকে কিছু সমীহ আদায় করে নিয়েছিলেন। তাঁর বলে সহজ ক্যাচ ফেলেছেন রিজওয়ানরা।