প্রতিবেদন : ইস্টবেঙ্গল আগেই ছিটকে গিয়েছিল। সোমবার ডুরান্ড কাপ থেকে বিদায় নিল মোহনবাগানও (ATK Mohun Bagan)। এদিন রাজস্থান ইউনাইটেড ২-০ গোলে ভারতীয় নৌসেনা দলকে হারিয়ে দিতেই লিস্টন কোলাসোদের ডুরান্ড অভিযান শেষ। মোহনবাগান ও রাজস্থানের পয়েন্ট (৪ ম্যাচে ৭) সমান হলেও, রাজস্থানের কাছে হেরে গিয়েছিলেন লিস্টনরা। ফলে গ্রুপ ‘বি’ থেকে মুম্বই সিটি এফসির সঙ্গে দ্বিতীয় দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল রাজস্থান।
জুয়ান ফেরান্দোর পাখির চোখ এখন এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনাল। বুধবার মালয়েশিয়ার ক্লাব কুয়ালালামপুর সিটি এফসির মুখোমুখি হবেন জনি কাউকোরা। তারই প্রস্তুতি জোর কদমে চলছে সবুজ-মেরুন শিবিরে। ডিফেন্স আঁটসাঁট করার জন্য এএফসি কাপের ম্যাচে ফ্লোরেন্তিন পোগবার সঙ্গী হতে পারেন ব্রেন্ডন হ্যামিল। অস্ট্রেলীয় সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার রবিবার থেকেই পুরোদমে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন। তাছাড়া অস্ট্রেলীয় বিশ্বকাপার দিমিত্রি পেত্রাতোসকেও শুরু থেকেই খেলাতে চাইছেন ফেরান্দো।
আরও পড়ুন: আইএসএল: ফিরছে দর্শক, খুশি সুনীল
এদিকে, সোমবারই কলকাতায় পৌঁছে গেল মোহনবাগানের (ATK Mohun Bagan) প্রতিপক্ষ কুয়ালালামপুর এফসি। পাঁচ বিদেশি নিয়েই এএফসি কাপের ম্যাচ খেলতে এসেছে তারা। এই দলটার প্রধান ভরসা কলম্বিয়ান স্ট্রাইকার রোমেল মোরালেস এবং ব্রাজিলীয় প্লে-মেকার পাওলো জেসুস। কোচ বোজান হোডাক আগাম হোমওয়ার্ক সেরে রেখেছেন সবুজ-মেরুনকে নিয়ে। এদিন বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘‘মোহনবাগান দারুণ শক্তিশালী দল। আমাদের সামনে একটা কঠিন ম্যাচ অপেক্ষা করছে। ওদের ছ’টা ম্যাচের ভিডিও দেখেছি। তিনটে এএফসি কাপের ও তিনটে ডুরান্ডের। তাই ওদের শক্তি ও দুর্বলতা অজানা নয়।’’
কুয়ালালামপুরের কোচ আরও জানিয়েছেন, ফেরান্দোর অন্যতম সেরা অস্ত্র পেত্রাতোসকে তিনি ভাল করেই চেনেন। ২০১২-১৩ মরশুমে মালয়েশিয়ার আরেক ক্লাব কেলান্তান এফসিতে তাঁর কোচিংয়ে খেলেছেন পেত্রাতোস। সব মিলিয়ে পুরোদস্তুর তৈরি হয়েই কলকাতায় পা রেখেছেন বোজান।