সোমবার রাজ্যের সব পুজো কমিটিকে নিয়ে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । এবারের বৈঠক শুধুমাত্র কলকাতা পুজো কমিটিগুলির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিল জেলা পুজো কমিটিগুলিও । কলকাতা পুলিশের শীর্ষ কর্তা ও জেলাশাসক স্তরের আধিকারিকেরাও উপস্থিত ছিল এই বৈঠকে । সেখানে তিনি বলেন, এ বারের পুজোয় স্পেশাল আয়োজন হবে। কারণ, এ বার ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতির পর প্রথমবার পুজো বিপুল আয়োজন করা হচ্ছে। সেই কারণেই এই আয়োজন। তিনি জানান, ১ সেপ্টেম্বর কলকাতায় হবে এক বিশাল মিছিল। সেখানেই এ বারের উৎসবের সূচনা করা হবে।
আরও পড়ুন-দুর্গাপুজো উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ ঘোষণা
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ওই দিন বেলা ২টোর সময় থেকে মিছিল শুরু হবে জোড়াসাঁকোতে। ঠাকুরবাড়ির সামনে মিছিলের জন্য সাধারণ মানুষ, পুজো উদ্যোক্তা ও পড়ুয়ারা জড়ো হবেন। সেখান থেকে মিছিল শুরু হবে। মিছিল যাবে রানি রাসমণি রোড পর্যন্ত। এই মিছিলে অংশ নেবেন হাওড়া, সল্টলেক ও কলকাতার মানুষেরা। মমতা আরও বলেন, এই মিছিলটি ঐতিহাসিক মিছিল হিসাবে গণ্য করতে হবে। রানি রাসমণির এলাকা তিনি দেখতে যাবেন বলে জানান।
আরও পড়ুন-
মমতা বলেন, ১ সেপ্টেম্বর মিছিল হবে রাজ্য জুড়ে। এ বারের মিছিল অনেক রঙিন করতে হবে। যাতে রঙ থাকে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সবাই রঙ রাখবেন, রঙিন ছাতা, রঙিন জামাকাপড় পড়ে আসবেন।ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে দুপুর ২টো থেকে কালারফুল মিছিল হবে বলে জানান মমতা।
আরও পড়ুন-৫ খুন! তবু প্রকাশ্যে বিজেপি নেতা!
কলকাতার মতো জেলাতেও মিছিল করতে হবে, জেলাশাসকদের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। মিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য স্কুলের ১০ হাজার পড়ুয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। ৮ অক্টোবর কলকাতায় পুজো কার্নিভাল হবে। মমতা বলেন, পাড়ায় পাড়ায় কে কত আলো, শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি দেবে, তার প্রতিযোগিতা হবে। যে মিছিল করব, সেদিন ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাব। তিনি জানান, আগে থেকে সবাইকে তৈরি থাকতে হবে। অনেক বিদেশিরা আসবে। ২১, ২২, ২৩ একটা বড় টিম আসবে।