অলোক সরকার: অনুজ রাওয়াতের জন্য জায়গা হচ্ছিল না তাঁর। রাওয়াত কিন্তু রান পাচ্ছিলেন না। শেষমেশ আরসিবি মিটিংয়ে তাঁর নাম উঠল। ব্রাত্য রজত পাতিদার সেই সুযোগে জ্বলে উঠলেন। বুধবার ইডেনে তিনি যে সেঞ্চুরি করলেন, তাতেই আইপিএল এলিমিনেটর জিতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রাজস্থানের সামনে পড়ল আরসিবি (RCB)। লখনউকে তারা হারাল ১৪ রানে।
কেকেআরের (KKR) প্রাক্তন অধিনায়ক লখনউয়ের মেন্টর। গৌতম গম্ভীর এখনও নাইট ভক্তদের কাছের মানুষ। কিন্তু বিরাট কোহলি তাঁকে টেক্কা দিলেন। নাহলে সারাক্ষণ ইডেন আরসিবি…আরসিবি… করবে কেন। রাহুল যখন লখনউ ইনিংসকে দাড় করাচ্ছেন, তখনও চিৎকার আরসিবি..। পাল্টা এলএসজি বলে যে আওয়াজটা ভেসে এল, সেটা বেঙ্গালুরুর কাছে দাড়াতে পারেনি।
আরও পড়ুন: এভারেস্টের পরই লোৎসে-জয় পিয়ালির
২০৮ তাড়া করতে গেলে একজনকে শিট অ্যাঙ্কর রোল প্লে করতে হয়। রাহুল সেটা করলেন। ডি’কক (৬) প্রথম ওভারে ফিরে গিয়েছিলেন। রাহুল টানলেন। ১০ ওভারে ৮৯/২। কিন্তু একটু করে ওভার গেল আর চাপ বাড়ল। আর একটু আগে মারতে শুরু করলে হয়তো হত। কিন্তু সেটা হয়নি। তারপর রাহুল ৫৮ বলে ৭৯ করে ফিরে যেতেই লখনউয়ের আশা শেষ। পরের বলেই ক্রুনাল আউট। শেষ ওভারে ২৪ রান দরকার ছিল তাদের। কিন্তু রানটা গেল ১৯৩/৬।
তার আগের ছবি। প্রায় স্তব্ধ ইডেন। গাছের পাতাও বোধহয় নড়ছে না। তিনি, বিরাট কোহলি ফিরে আসছেন ড্রেসিংরুমের দিকে। মুখে বিরক্তি-হতাশা। এই ইডেনে শেষ সেঞ্চুরি এসেছিল প্রায় তিন বছর আগে। তারপর কলকাতায় এই প্রথম খেললেন।। ইডেন (Eden) স্বর্ণ সিংহাসন ফেরত দেয়নি!
অথচ বিরাট এই ম্যাচের হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালা। শুধু তাঁর টানে কালবৈশাখীর ভ্রুকুটি নিয়েও ইডেন ফুলহাউস ভরসন্ধ্যাতেই। কিং কোহলি বড় রানের দিকে যাচ্ছিলেন। ডুপ্লেসিকে(০) মহসিন যখন তুলে নিলেন, আরসিবি (RCB) ৪। পাতিদারকে সঙ্গে নিয়ে বিরাট কিন্তু গুছিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু আবেশের বলে আউট হয়ে গেলেন। ২৪ বলে ২৫ রান। দুটি চার। পাতিদারের জমিদারি এখন থেকেই শুরু। পাশে পেলেন ডিকে-কে।
পাতিদার আরসিবির ফার্স্ট চয়েস ছিলেন না। কিন্তু যেভাবে লখনউ বোলিংকে খুন করলেন, তাতে কেন সব ম্যাচ খেলেননি প্রশ্ন উঠতে পারে। ৪৯ বলে ১০০। শেষপর্যন্ত ৫৪ বলে ১১২ নট আউট। ১২টি চার, ৭ ছক্কা। তাঁর সঙ্গে কার্তিক মিলে তুলে দিলেন ৪১ বলে ৯২ রান। কার্তিক ৩৭ নট আউট। এই জুটির ঝড়েই আরসিবির ২০ ওভারে ২০৭/৪। জয়ের জন্য সেটাই ছিল যথেষ্ট।