প্রতিবেদন : ভিত্তিহীন ও ভুয়ো অভিযোগে একশো দিনের কাজ ও আবাস যোজনায় বাংলার বরাদ্দ কয়েক হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। কিন্তু কৃষিকাজে উন্নতির জন্য সেই বাংলাকেই মডেল করার পরামর্শ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের মতো বিজেপিশাসিত সরকারগুলির কাছে ইতিমধ্যে এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ উদ্যোগে তৈরি রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনা বা আরকেভিওয়াই-এর বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের প্রশংসা করে এমনই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-জিততে না পেরে সন্ত্রাস বিজেপির
গত বুধবার নয়াদিল্লির কৃষিভবনে সব রাজ্যের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এই বৈঠক হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের এই পরামর্শের পর রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের নিরিখে বাংলা আজ দেশের সব রাজ্যগুলির কাছে মডেল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বারবার সে কথা বলেছেন। আর তিনি যে ভুল বলেননি কেন্দ্রের এই নির্দেশেই তা ফের প্রমাণিত হল। কৃষিতে বাংলার সাফল্য এবার কেন্দ্রীয় সরকারও স্বীকার করে নিল। কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়াই রাজ্য সরকার নিজের প্রচেষ্টায় কৃষকবন্ধু, বাংলা শস্যবিমার মতো প্রকল্প চালু করেছে। তারপর বাংলাকে মডেল করে অনেক রাজ্যই এই সব প্রকল্প চালু করেছে। এখানেই বাংলার সাফল্য। বুধবার দিল্লির কৃষি ভবনের বৈঠকে প্রতিটি রাজ্য তাদের কাজকর্ম বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরে। পশ্চিমবঙ্গের প্রেজেন্টেশন দেখে কৃষিমন্ত্রকের সচিব-সহ অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকরা উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন-মণিপুরকাণ্ডের পিছনে মাদকের রমরমা কারবার
কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্যই বলছে, বাংলা এই খাতে বরাদ্দ টাকা খরচ করে যথাযথ ভাবে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট-সহ সমস্ত নথিও জমা দিয়েছে। ফলে রাজ্য ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের আরও এক কিস্তি টাকা পাচ্ছে। একই সঙ্গে ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের প্রথম কিস্তির টাকাও পাচ্ছে। বাংলা ছাড়া এই কৃতিত্ব দেখিয়েছে একমাত্র তামিলনাড়ু। উল্টোদিকে বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলি তাঁদের গত বছরের বরাদ্দ টাকাই খরচ করতে পারেনি। ফলে তাঁরা এই দুই কিস্তির টাকাও পাচ্ছে না।