প্রতিবেদন : অন্ধ্রপ্রদেশে গিয়ে নেতাজিনগরের পডুয়া রীতি সাহার রহস্যমৃত্যুর তদন্ত শুরু করল এ রাজ্যের পুলিশ। বিশাখাপত্তনমের সেই হস্টেলে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করালেন তদন্তকারী অফিসাররা। টানা চারদিন ধরে বিশাখাপত্তনমে সবকিছু খতিয়ে দেখছেন বাংলার পুলিশ আধিকারিকরা। সর্বভারতীয় নিট পরীক্ষার কোচিং নিতে বিশাখাপত্তনমে গিয়েছিলেন কলকাতা নেতাজি নগরের মেয়ে রীতি সাহা। সেখানেই একটি বেসরকারি কলেজের হস্টেলের ছাদ থেকে পড়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় রীতির।
আরও পড়ুন-রোহিতের উইকেট পেয়ে খুশি : শাহিন
প্রাথমিক ভাবে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করে আত্মহত্যা বলে জানিয়ে দেয়। কিন্তু আত্মহত্যার তত্ত্ব মানতে নারাজ রীতির পরিবার। পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছে মেয়েকে। কিন্তু অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের তদন্তে ভরসা পাচ্ছেন না তাঁরা। এ রাজ্যের পুলিশেই ভরসা তাদের। ঘটনার পরই রীতির বাড়ি গিয়ে তাঁর বাবা ও মায়ের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। মন্ত্রীর ফোন থেকে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি পরিবারের পাশে থাকার ও তদন্তের আশ্বাস দেন। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রীতির মৃত্যুর তদন্তভার হাতে নেয় রাজ্য পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমে বিশাখাপত্তনমে যায় রাজ্য পুলিশের একটি দল।
আরও পড়ুন-৩১ ডিসেম্বরের আগেই মহকুমা হবে ধূপগুড়ি
ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেন তাঁরা। রীতি পড়ে গিয়েছিলেন নাকি তাঁকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল এখন সেটাই খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্তারা। হস্টেলের তিনতলা থেকে একটি ম্যানিকুইন ফেলে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেন তাঁরা। পুলিশ দেখতে চাইছে, উপর থেকে কেউ ঝাঁপ দিলে কোথায় গিয়ে পড়তে পারে তাঁর দেহ। আবার ধাক্কা মেরে ফেলে দিলে কতদূর গিয়ে পড়বে। ঘটনার পুনর্নির্মাণের পাশাপাশি বেঙ্কট রাম হাসপাতালেও যায় রাজ্য পুলিশ। রীতি পড়ে যাওয়ার পর তাঁকে সেই হাসপাতালেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন-আত্মহত্যার প্ররোচনা, ধৃত প্রধান শিক্ষক
হাসপাতালে চিকিৎসার কোনও ত্রুটি ছিল কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসা হয়নি বলেও অভিযোগ করেছে রীতির পরিবার। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। চিকিৎসায় গাফিলতি হয়েছিল কি না, তা বোঝার চেষ্টা করেন তাঁরা। অন্ধ্র পুলিশের তদন্তকারী অফিসার সিআই শ্রীনিবাস রাওয়ের সঙ্গেও কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। সবমিলিয়ে রীতির রহস্যমৃত্যু নিয়ে জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।