কোনও নির্বাচনী সভা নয়। দলের কর্মী সম্মেলন, নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখবেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর এই প্রথম আলিপুরদুয়ার জেলায় পা রেখেছেন নেত্রী। কিন্তু সাংগঠনিক সভা কে কেন্দ্র করে কার্যত ঠাই নাই রব। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঙ্গলবার সাংগঠনিক সভা। আলিপুরদুয়ারের প্যারেড গ্রাউন্ডের একাংশে সভার বন্দোবস্ত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই দেখা গেল মানুষের জনস্রোত এই মাঠ মুখী। যেদিকে দুচোখ যায় শুধুই মানুষের কালো কালো মাথা।
আরও পড়ুন-স্থানীয় নেতার উপর রাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভুল বুঝবেন না: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
অনেকে সকাল দশটার মধ্যেই প্যারেড গ্রাউন্ডে হাজির সামনের আসনে বসবেন যাতে দিদিকে আরও কাছ থেকে দেখা যায়। একটা সময় দেখা গেল ভীড়ের এমন অবস্থা মঞ্চের ডান দিকের বিরাট অংশের শামিয়ানা খুলে ফেলতে হল। কেননা বসার চেয়ার ছাড়িয়েও হাজার হাজার মানুষ মাঠে দাঁড়িয়ে রয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বক্তৃতা শুনবেন বলে। উপচে পড়া ভিড় বললেও কম বলা হয়। বাকিরা বোট আমার জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে এমনকি বাইরে রাস্তায় কাতারে কাতারে মানুষ। সবার পক্ষে সভা মঞ্চের কাছাকাছি বা মাঠে ঢোকা সম্ভব হয়নি ভিড়ের চাপে। তারা বাইরে থেকেই মাইকে নেত্রীর বক্তব্য শুনেছেন ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে রোদের মধ্যে।
আরও পড়ুন-দুবাইয়েও ইডির নজর অভিষেকের দিকে: কেন্দ্রকে তোপ তৃণমূল সাংসদের
এদিন অনেকেই গরমে অস্বস্তি বোধ করেছেন কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বীরপাড়ার মুসকান পারভীনকে নেত্রীর নিজে শুশ্রূষা করেছেন সে অসুস্থ হয়ে পড়ায়। জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ারের নেতা- কর্মীরাতো ছিলেনই। কুচবিহারেরও উদয়ন গুহ সহ কিছু নেতা-নেত্রী এই সমাবেশে ছিলেন। চা বাগান অধ্যুষিত এলাকার নেতা-নেত্রীরা ছিলেন। ছিলেন শ্রমিকরাও। আদিবাসী ও বিভিন্ন জনজাতিগোষ্ঠীর লোকেরাও এসেছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বক্তৃতা শুনতে। মাঝেমধ্যেই বিভ্রম হচ্ছিল কোথায় আছি।
কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে যে ধরনের সমাবেশ দেখে আমরা অভ্যস্ত তার থেকে কোনো অংশে কম নয় আলিপুরদুয়ারের মঙ্গলবার এর নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর সাংগঠনিক সমাবেশ। মাঠের চারটে গেটের প্রত্যেকটি দিয়েই বন্যার জলের মতো কার্যত লোক ঢুকেই চলেছে। শেষে সভা শুরু হওয়ায় বাকিরা মাঠের বাইরের রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে থেকেছেন সকলে জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত।