প্রতিবেদন : কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার দেশের একের পর এক লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বেসরকারি হাতে তুলে দিচ্ছে। প্রতিদিনই কর্মী সংকোচন করা হচ্ছে। শূন্যপদ পূরণে নতুন চাকরি দেওয়া দূরের কথা, বরং সব চাকরিই প্রায় চুক্তিভিত্তিক হয়ে গিয়েছে। এতদিন বাকি ছিল দেশের সেনাবাহিনী। এবার সেখানেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ শুরু হতে চলেছে।
আরও পড়ুন-রাজ্য জিমন্যাস্টিকসে কামাল
সেনাবাহিনীতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই কথাবার্তা শুরু হয়েছিল। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ শুরু হবে। জল, স্থল ও বায়ু তিন বাহিনীতেই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হবে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের প্রস্তাবে বলা হয়েছে জওয়ান থেকে অফিসার সমস্ত পদেই মাত্র চার বছরের জন্য নিয়োগ করা হবে। চার বছর পর ৭৫ শতাংশকে ছেঁটে ফেলা হবে। বাকি ২৫ শতাংশকে স্থায়ী করা হবে। সেক্ষেত্রেও তাঁদের নতুন করে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হবে। অর্থাৎ তাঁদের পাকা চাকরির সঙ্গে আগের চার বছরের কোনও সম্পর্ক থাকবে না। অর্থাৎ তাঁদের জন্য সরকারকে অতিরিক্ত কোনও আর্থিক দায়ভার বহন করতে হবে না।
আরও পড়ুন-কালনায় হচ্ছে নার্সিং কলেজ
প্রথমে ঠিক হয়েছিল, তিন বছরের চুক্তিতে নিয়োগ হবে। তবে সেই প্রস্তাব বদল করে চার বছর করা হয়েছে। সরকারের দাবি, যে ৭৫ শতাংশকে ছেঁটে ফেলা হবে তাঁরা সরকারের অন্য কাজে বা বেসরকারি অফিসেও চাকরি করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। কারণ ৪ বছর সেনাবাহিনীতে কাজ করার জন্য তাঁরা অন্যদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে থাকবেন। মোদি সরকার বারবার দেশের সুরক্ষার কথা বললেও আদতে তারা সে বিষয়ে কতটা আগ্রহী তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। করোনার কারণে গত দু’বছর বাহিনীতে কোনও নিয়োগ হয়নি৷ এই মুহূর্তে শূন্যপদের সংখ্যা ১ লাখ ২৫ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-উত্তরপ্রদেশে গব্বর যোগী
এই বিপুল সংখ্যক পদে দ্রুত নিয়োগ করা সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ৷ কারণ এই মুহূর্তে মোদি সরকারের হাতে অর্থ নেই। তাই এই বিপুল সংখ্যক কর্মীকে বেতন দিতে পারবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। এই আর্থিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করে দেশের সুরক্ষাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে মাত্র চার বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের পথে হাঁটতে চলেছে বিজেপি সরকার৷ বর্তমানে সেনাবাহিনীতে ইঞ্জিনিয়ারিং-সহ বিভিন্ন কারিগরি ক্ষেত্রে নিয়োগের পর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কিন্তু ভবিষ্যতে খরচ বাঁচাতে কারিগরি শিক্ষাকেন্দ্র বা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষিতদের নিয়োগ করার কথা ভাবছে সরকার। এর ফলে প্রশিক্ষণের প্রাথমিক পাঠ দিতে সরকারের টাকা বাঁচবে৷