প্রতিবেদন : ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে টানাপোড়েনের মাঝেই এবার ভিন্ন সুর কানাডার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর গলায়। ট্রুডোর মন্ত্রিসভার সদস্য বিল ব্লেয়ার সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, ভারতের সঙ্গে কানাডার সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্লেয়ারের এহেন মন্তব্যে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান সংঘাত ছেড়ে এবার সন্ধির পথে হাঁটতে চাইছে কানাডা। যদিও বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত জারি থাকবে বলেও জানিয়েছেন ট্রুডোর মন্ত্রিসভার সদস্য।
আরও পড়ুন-মুসলিম পড়ুয়া নিগ্রহ-কাণ্ড, তদন্তে ঢিলেমির জন্য যোগী সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার প্রসঙ্গে রবিবার কানাডার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি যে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্করক্ষার প্রশ্নে এটা (নিজ্জর হত্যা সংক্রান্ত বিতর্ক) একটা কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’ এর পরই তাঁর সংযোজন, ‘কিন্তু দেশের আইন এবং নাগরিকদের রক্ষা করাও আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তাই আমরা তদন্ত চালিয়ে সত্যিটা খুঁজে বার করার চেষ্টা করব।’ তবে এই সংঘাতের জেরে কানাডার ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের রণকৌশলে কোনও বদল আসবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ, এই অঞ্চলে চিনা আগ্রাসন রুখতে ভারত, আমেরিকা, জাপানের মতো দেশগুলি যে ভাবে পাশাপাশি আসার চেষ্টা করছে, আপাতত সেই উদ্যোগের পাশে থাকবে কানাডাও।
আরও পড়ুন-জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে সিদ্ধান্ত, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে শেষ হবে চাকলাধামের সংস্কার
জুন মাসে খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরকে গুরুদ্বার চত্বরের মধ্যেই গুলি করে খুন করা হয়। সেই ঘটনায় সোমবার ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে ট্রুডো। যদিও এই দাবিকে ‘অবাস্তব’ এবং ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে উড়িয়ে দেয় ভারত। বুধবার সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে প্রকাশিত একটি খবরে বলা হয়, ট্রুডো সরকারের মদতে অন্তত ২১ জন কট্টরপন্থী খলিস্তানি নেতা কানাডায় আশ্রয় পেয়েছেন। তাঁরা আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর সে দেশের ভারতীয় হাইকমিশন-সহ বিভিন্ন কূটনৈতিক কেন্দ্রগুলিতে হাঙ্গামার ছক কষছেন বলেও ওই খবরে দাবি করা হয়েছে। অবশ্য ভারত চাপ বাড়ালেও নিজের অবস্থানে এখনও পর্যন্ত অনড় থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রুডো।