প্রতিবেদন : মাত্র ২ বছরের এক ঘুমন্ত শিশুকে বিছানা থেকে তুলে একের পর এক আছাড়। খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল জেঠিমার বিরুদ্ধে। গায়ে কাঁটা দেওয়া এমন দৃশ্য মোবাইল বন্দি হতেই পুরাতন মালদহ থানার যাত্রাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের রানিরগড় এলাকা জুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। অবশেষে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ এবং গ্রামবাসীরা সালিশি সভা ডেকে অভিযুক্ত ওই মহিলাকে গ্রাম ছাড়া করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জখম ওই শিশুকে আপাতত চিকিৎসার জন্য একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তির করা হয়েছে। বুধবারের মধ্যে গোটা ঘটনা গ্রামে চাউর হতেই সালিশি সভা ডেকে অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রামছাড়া করার নিদান দেওয়া হয়। যদিও এই ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি থানায়। লিখিত অভিযোগ দায়ের হলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।
আরও পড়ুন-মহারাষ্ট্র উপকূলে ভেসে এল অস্ত্রবোঝাই নৌকা, ফিরল ২৬/১১-র আতঙ্ক
শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অপর্ণা বিশ্বাস মাঝেমধ্যেই দেখতেন তাঁর বছর দুয়েকের ছেলের কখনও নাক দিয়ে, আবার কখনও দাঁত দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে। শুধু তাই নয়, ঘুম থেকে উঠে ভীষণ কান্নাকাটি করত তাঁর ছেলে। কেন এমন ঘটছে, মা হয়েও বুঝতে পারতেন না তিনি। স্থানীয় চিকিৎসককেও দেখানো হয়। চিকিৎসকদের অনুমান ছিল, হয়তো পড়ে গিয়ে শিশুর নাক দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে।
আরও পড়ুন-ভূমিপুত্র না হলেও মিলবে ভোটাধিকার
এর পর নানা কারণে বড় জা শিবানী বিশ্বাসের উপর সন্দেহ হয় অপর্ণার। শিশুর শোওয়ার ঘরে ক্যামেরা চালু করে একটি ফোন লুকিয়ে রেখেছিলেন তিনি। ওই ক্যামেরাতেই ধরা পড়ে হাড়হিম করা ওই দৃশ্য। ওই শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত শিশুর মা অপর্ণা বিশ্বাস মাঝেমধ্যেই লক্ষ্য করত তার দুই বছরের ছেলের কখনও নাক দিয়ে, আবার কখনও দাঁত দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে। কী কারণে এসব হচ্ছে তা বুঝতে পারতেন না। অভিযুক্ত ওই মহিলার নাম শিবানী বিশ্বাস। মা অপর্ণা বিশ্বাস ঘরের মধ্যে মোবাইল ক্যামেরা অন করে রাখে তারপরেই সমস্ত কিছু পরিষ্কার হয়ে যায়।