হাংঝাউ: এশিয়াডে পদক পেলে লোকে হাসে। খুশিতে উচ্ছ্বল হয়। কিন্তু উশুতে রুপো পেয়েও ঝরঝর করে কেঁদে ফেললেন মণিপুরের রোশিবিনা দেবী (Roshibina Devi)। এই পদক রাজ্যের জনতাকে উৎসর্গ করে ২৩ বছরের তরুণী বললেন, আমি বাড়ি যেতে পারি না। পরিবারের জন্য আমার খুব চিন্তা হয়।
গত কয়েক মাস ধরে অশান্তি চলছে মণিপুরে। অনেক প্রাণ গিয়েছে ইতিমধ্যেই। সেই কথা মনে করে এদিন রুপো জেতার পর চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। মণিপুরের ভূমিকন্যা। তিনি জানান, অনেক মাস ধরে বাড়ির বাইরে আছেন, বাড়িতে ফিরতে পারছেন না। ওখানকার পরিস্থিতির জন্য অনেক সময় তাঁর ভয় করে যে আর হয়তো কথাই বলতে পারবেন না পরিবারের সঙ্গে!
পদক জেতার পর মিক্সড জোনে এসে রোশিবিনা (Roshibina Devi) আরও বলেন, আমি সবসময় ওদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তায় থাকি। আমি এতে কোনও সাহায্য করতে পারব না। যাঁরা আমার পরিবারকে রক্ষার দায়িত্বে আছেন, এই পদক আমি তাঁদের উৎসর্গ করছি। আমি জানি শান্তির জন্য আমার আবেদনের কোনও মূল্য নেই। কিন্তু আমি সবকিছু আগের মতো দেখতে চাই। যে আগুন জ্বলছে, তা নিভে যাক।
গত জুন মাস থেকে পরিবারের সঙ্গে মিলিত হতে পারেননি রোশিবিনা। তিনি মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলার কন্যা। পদক জিতেও তাঁর আক্ষেপ বাড়ি ফিরতে পারবেন না। তাঁকে যেতে হবে হস্টেলে। বৃহস্পতিবার মেয়েদের ৬০ কেজি বিভাগে চিনা প্রতিযোগীকে হারিয়ে রুপো পেয়েছেন মণিপুরের তরুণী। এশিয়াডের ইতিহাসে তিনি হলেন দ্বিতীয় ভারতীয় প্রতিযোগী যিনি পদক পেলেন।
পদক জিতে রোশিবিনা বলেন, তিনি কিছু ভুল করে ফেলেছেন। দেখবেন যাতে আর ভুল না করেন। তাঁর কথায়, দেশের জন্য সোনা জিততে চেয়েছিলাম। হল না। আরও উন্নতি করব। পরেরবার সোনা জিতব।
আরও পড়ুন-ক্রিকেট বিশ্বকাপেই বদলা নেব হরদীপ হত্যার, খালিস্তানি হুমকি