প্রতিবেদন : বেনজির পদক্ষেপ রাষ্ট্রসংঘের। ইউক্রেনের বুচা শহরে নারকীয় সন্ত্রাস চালানোয় অভিযুক্ত রাশিয়াকে মানবাধিকার পরিষদ থেকে বরখাস্ত করল রাষ্ট্রসংঘ। ভোটাভুটির আগে পেশ করা প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। রাশিয়াকে সাসপেন্ড করার পক্ষে ভোট দেয় ৯৩টি দেশ। বিপক্ষে ২৪টি দেশ। ভারত-সহ ৫৮টি দেশ ভোটদানে বিরত থেকেছে। রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে ইউক্রেন ইস্যুতে ভারত ধারাবাহিক ভাবে ভোটদানে বিরত থাকছে।
আরও পড়ুন-ইস্তফা দেব না, হুমকি ইমরানের
তবে এবার সরাসরি না-হলেও ভারতের এই কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত পরোক্ষে রাশিয়ার বিরুদ্ধেই গেল। কারণ, রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ অধিবেশনে মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে রাশিয়াকে বরখাস্ত করার জন্য প্রস্তাবের পক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন প্রয়োজন ছিল। যে দেশগুলি ভোটদানে বিরত থেকেছে, তাদের সংখ্যা কোনও পক্ষেই গোনা হয় না। লিবিয়ার পরে এই প্রথম কোনও দেশের বিরুদ্ধে এমন কঠোর পদক্ষেপ করল রাষ্ট্রসংঘ। গদ্দাফির বাহিনী বিদ্রোহীদের উপরে হিংস্র আক্রমণ চালানোয় ২০১১ সালে লিবিয়াকে এভাবেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল। এতদিন রাশিয়া ছিল
আরও পড়ুন-তেওয়াটিয়ার জোড়া ছক্কায় জয় গুজরাটের
মানবাধিকার কাউন্সিলের অন্যতম সরব ও সক্রিয় সদস্য। কূটনৈতিক শিবিরের মতে, এখনও তারা নানাভাবে কাউন্সিলকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাবে। কূটনৈতিক মহলে এমন চর্চাও চলছে, এর পর ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সখ্য কি বজায় থাকবে, বা ভোটদানে বিরত থাকার ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় কি আদৌ খুশি হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র! ভারতে ভারসাম্যের কূটনীতির ভবিষ্যৎ নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। যদিও রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী মিশনের প্রতিনিধি টি তিরুমূর্তি যথারীতি জানিয়েছেন, ভারত শান্তির পক্ষে। ভারত চায়, অবিলম্বে হিংসা বন্ধ হোক এবং কূটনীতি ও সংলাপের মধ্য দিয়ে সব সংঘাতের সমাধান হোক।