চা-বলয়ে নতুন অতিথি, কাশ্মীরি কেশর

Must read

রিতিশা সরকার, দার্জিলিং: চা-বাগিচায় কেশরের (Saffron- Darjeeling) রং। পাহাড়ের ক্যানভাসে নতুন ছবি। দার্জিলিং-এ কেশর চাষে উদ্যোগী হল উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (North Bengal Agricultural University)। পাহাড়ে ফসল চাষের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়। কাশ্মীরের আবহাওয়া সাথে দার্জিলিং (Darjeeling) পার্বত্য এলাকার আবহাওয়ার খুব একটা তফাত নেই। কাশ্মীরে কেশর ফুলের চাষ হতে পারলে দার্জিলিং-এ (Saffron- Darjeeling) কেন সম্ভব নয়। তাই উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিজ্ঞানী অশোক সাহার উদ্যোগেই কেশর ফুলের চাষে সাফল্য পেয়েছে। ইতিমধ্যে পাহাড়ের মাটিতে কেশর ফুল ফুটেছে। যার গুণগতমান কাশ্মীরের (Kashmir) কেশর ফুলের থেকে কোনও অংশে কম নয়। বহুদিন আগেই পাহাড়ের মাটিতে কমলা ও চা চাষে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে সাফল্য পেয়েছে পার্বত্য এলাকা।

আরও পড়ুন-রবীন্দ্র সরোবরে রোয়িং অনুশীলন করতে গিয়ে উল্টে গেল বোট, কেএমডিএ-কলকাতা পুলিশের তৎপরতায় রক্ষা

এবার কেশর ফুলের চাষে একইভাবে সাফল্য পাবে পাহাড় আশাবাদী উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিবিজ্ঞানীরা। দার্জিলিং পার্বত্য এলাকার সান্দাকফু বাতাসিয়া লুপ রিচমন্ড হিল মানেভঞ্জন এবং লেবু-সহ শীতল তাপমাত্রা অবস্থিত জায়গায় গত বছর কাশ্মীর থেকে কেশর ফুলের কন্দ এনে চাষ শুরু করে। পরীক্ষামূলক চাষে সফলতা পেয়েছে কৃষি বিজ্ঞানীরা। জেলাশাসক এস পুন্নবালাম এই বিষয়ে বলেন, পাহাড়ে কেশর চাষের উদ্যোগে সিঙ্কোনা ডাইরেক্টরেট কেশর চাষের উদ্যোগ নিয়েছিল বহু আগেই। তবে পুরোটাই পরীক্ষামূলক পদ্ধতিতেই করা হয়েছে। কেশরচাষে যে সফলতা মিলবে এ-বিষয়ে আশাবাদী উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

আরও পড়ুন-জলজীবন মিশনে রাজ্যের ৫০ লক্ষ গ্রামীণ পরিবারে পৌঁছেছে নলবাহিত পানীয় জল, আনন্দিত মুখ্যমন্ত্রী

Latest article