প্রতিবেদন : মোদি পদবি নিয়ে মন্তব্যের জেরে সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। এবার সেই তালিকায় নাম জুড়তে চলেছে আরও এক বিরোধী সাংসদের। সূত্রের খবর, আপত্তিকর মন্তব্যর কারণে সাংসদ পদে কোপ পড়তে পারে আরও এক বিরোধী সাংসদের। তবে এই সাংসদ কংগ্রেসের এবং লোকসভার সদস্য নন। তিনি রাজ্যসভার সাংসদ। শিবসেনা নেতা রাজ্যসভার এই সাংসদের নাম সঞ্জয় রাউত (Sanjay Raut)। সঞ্জয় মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের খুবই কাছের লোক বলে পরিচিত। উদ্ধব ঘনিষ্ঠ এই সাংসদের বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের প্রস্তাব পাশ হয়েছে মহারাষ্ট্র বিধানসভায়। সেই প্রস্তাব ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়ের কাছে। সেখানেও রাউতের বিরুদ্ধে এই প্রস্তাব পাশ হলে সাংসদ পদ হারাতে পারেন সঞ্জয়। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চরম সমালোচনার মুখে পড়ছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার।
রাহুলের সাংসদ পদ কেড়ে নেওয়ায় দেশজুড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা। এরই মধ্যে এবার সঞ্জয় রাউতের (Sanjay Raut) সাংসদ পদ খারিজের রাস্তায় হাঁটতে চলেছে রাজ্যসভা। তবে বিষয়টি নির্ভর করছে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়ের উপর। ধনকড় যে বিজেপির কথামতোই চলেন তা বলাই বাহুল্য। রাউত বিজেপির কট্টর বিরোধী। তাই তাঁকে ঠেকাতে বিজেপির ইশারায় ধনকড় রাউতের পদ খারিজ করতে পারেন এমন সম্ভাবনা প্রবল। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিজেপি ও শিবসেনা সদস্যদের চোরের দল বলে কটাক্ষ করেছিলেন রাউত। মহারাষ্ট্রের শিবসেনা-বিজেপি জোট সরকার রাউতের এই মন্তব্য নিয়ে স্পিকার রাহুল নারভেকারের কাছে অভিযোগ জানায়। অভিযোগে বলা হয়, নির্বাচিত বিধায়কদের চোর বলে সম্বোধন করে বিধানসভারই অপমান করেছেন রাউত। এরপরই রাউতের বিরুদ্ধে আনা স্বাধিকারভঙ্গের প্রস্তাব রাজ্যসভায় পাঠানো হয়। সংসদের উচ্চকক্ষই এবার পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। রাউত নিজেও তাঁর বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত হচ্ছে। তবে এসবে তিনি ভয় পাচ্ছেন না। রাউত জানান, তিনি কখনওই গোটা বিধানসভাকে চোর বলে অপমান করেননি। শুধু উদ্ধবের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা ছেড়ে যে ৪০ জন বিধায়ক একনাথ শিন্ডে শিবিরে চলে গিয়ে নতুন গোষ্ঠী তৈরি করেছেন, তাঁদের উদ্দেশ্যেই ওই সম্বোধন ব্যবহার করেছেন।
আরও পড়ুন: অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের নিয়োগ