সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম : বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে সরকারি উদ্যোগে সম্ভবত দেশের প্রথম সাঁওতালি বইমেলা। ঝাড়গ্রাম শহরের রবীন্দ্র পার্কে। চলবে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে তৃণমূল সরকার ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর আদিবাসী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের উন্নয়নের দিকে নজর দেয়। সাঁওতালি আকাদেমির প্রাণ সঞ্চার করে। অলচিকি হরফকে সরকারি ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সাঁওতালি ভাষায় শিক্ষাদানের ওপর জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন-কাতার-জুড়ে হলুদ বসন্ত
সাঁওতালি পাঠ্যপুস্তক থেকে শুরু করে তিনটি ভাষা বাংলা, ইংরেজি ও সাঁওতালি ভাষার একসঙ্গে অভিধান প্রকাশ করেছে সাঁওতালি আকাদেমি। বহু স্কুলে নিয়োগ করা হয়েছে সাঁওতালি ভাষার শিক্ষক। ঝাড়গ্রামের নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হয়েছে সাঁওতালি কবি-সাহিত্যিক সাধু রামচাঁদ মুর্মুর নামে। সাঁওতালি ছেলেমেয়েদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রেও অনেক বাধা কেটেছে। দুয়ারে সরকারের শিবির করে সমস্যা মেটানো হয়েছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক সভা থেকে বিলি করেছেন ধামসা-মাদল।
আরও পড়ুন-৫৬ কাশ্মীরি পণ্ডিতকে খুনের হুমকি জঙ্গিদের
এবার দেশের মধ্যে সম্ভবত প্রথম সাঁওতালি বইমেলার আয়োজন করতে চলেছে সরকার। ঝাড়গ্রামের মহকুমা শাসক বাবুলাল মাহাত বলেন, ‘‘দেশে প্রথম সরকারি উদ্যোগে বইমেলা হচ্ছে। থাকছে সাঁওতালি প্রকাশক, সাঁওতালি আকাদেমি ইত্যাদির ২৬টি স্টল-সহ স্বসহায়ক দলের স্টল, জনপ্রিয় সাঁওতালি খাবারের স্টল। মেলা থেকে দেওয়া হবে কাস্ট সার্টিফিকেট।’’ দেশের প্রথম সাঁওতালি বইমেলাকে স্মরণীয় করে রাখতে রানি বিনোদমঞ্জরী রাষ্ট্রীয় বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে থেকে রবীন্দ্র পার্ক পর্যন্ত পদযাত্রার পর হবে বইমেলার উদ্বোধন। আমন্ত্রণপত্র ছাপানো হয়েছে বাংলার পাশাপাশি সাঁওতালি ভাষায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকার কথা দুই মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা ও সন্ধ্যা টুডুর।