প্রতিবেদন: ব্যর্থ হল ইসরোর (ISRO) উৎক্ষেপণ। নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছতে না পারায় ব্যবহারযোগ্য থাকল না পড়ুয়াদের তৈরি বিশেষ স্যাটেলাইট। উল্লেখ্য, স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে ইতিহাস তৈরি করে রবিবার ইসরো ক্ষুদ্রতম রকেট উৎক্ষেপণ করে। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে সকাল ৯টা বেজে ১৮ মিনিট নাগাদ রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। উৎক্ষেপণের সময়েই ধাক্কা খায় ইসরোর এই মিশন। যান্ত্রিক গোলোযোগের কারণে উৎক্ষেপণের মুহূর্তের বেশ কিছু তথ্য হারিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই বিজ্ঞানীরা সেই তথ্য পুনরুদ্ধারের চেষ্টা শুরু করেন। তবে শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। এর ফলেই নির্দিষ্ট কক্ষপথে স্যাটেলাইট দু’টিকে স্থাপন করা যায়নি।
আরও পড়ুন: নেতাজির অনুগামী ঈশ্বরলাল সিং প্রয়াত
পরে ইসরোর তরফে জানানো হয়, স্যাটেলাইট দু’টি আর ব্যবহারযোগ্য নেই। স্যাটেলাইটগুলি ব্যবহারযোগ্যতা হারানোর পর একাধিক ট্যুইট করা হয় ইসরোর তরফে। ইসরো (ISRO) ট্যুইটে জানিয়েছে, উৎক্ষেপণের সময় তথ্য হারানোর পর বিজ্ঞানীরা তা ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। কক্ষপথে না পৌঁছনোয় স্যাটেলাইট কার্যকারিতা হারিয়েছে। উল্লেখ্য, স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা একটি স্যাটেলাইট তৈরি করেছিল। স্পেস কিডজ ইন্ডিয়া নামে একটি মহাকাশ গবেষণা সংস্থার অধীনে ৭৫০ স্কুল পড়ুয়া এই স্যাটেলাইট তৈরি করেছিল। এদিন ক্ষুদ্রতম রকেটে সেই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়। পৃথিবীর অক্ষে এই স্যাটেলাইটের ঘোরার কথা ছিল। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য তা আর সম্ভব হল না। তবে রবিবারের ঐতিহাসিক উৎক্ষেপণকে পুরোপুরি ব্যর্থ ভাবতে রাজি নন বিজ্ঞানীরা। এদিনের উৎক্ষেপণ নিয়ে ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেছিলেন, আমাদের প্রত্যাশা মতোই এসএসএলভি-ডি ১ প্রতিটি ধাপে কাজ করেছে। কিন্তু উৎক্ষেপণের আগের মুহূর্তের কিছু তথ্য হারিয়ে গিয়েছে। আমরা যাবতীয় তথ্য বিশ্লেষণ করছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর সম্ভব হল না।