শালপাতার থালাবাটিতে স্বনির্ভর আদিবাসী মহিলারা

২০২০-তে দুর্গাপুরের সৃজনীতে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আদিবাসী সমাজের আর্থিক উন্নয়নের লক্ষ্যে শালপাতার ক্লাস্টার তৈরির প্রস্তাব দেন

Must read

সংবাদদাতা, দুর্গাপুর : বাণিজ্যিকভাবে তৈরি হওয়া শালপাতার ক্লাস্টার সফলভাবে এগোনোর কাজ শুরু হল পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা ব্লকে। ফলে দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প বাস্তবায়নে কয়েকমাস ধরে পশ্চিম বর্ধমানের জঙ্গলমহলে শুরু হয় শালপাতাকে আধুনিক সমাজের উপযোগী করে তৈরির হাতেকলমে প্রশিক্ষণ। বেশ কয়েক হাজার মহিলা এই প্রকল্পে সম্মানজনক মজুরিতে কাজ করছেন।

আরও পড়ুন-সরকারি উদ্যোগে পুনর্বহাল এইচআইভি পজিটিভ শিক্ষক

২০২০-তে দুর্গাপুরের সৃজনীতে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আদিবাসী সমাজের আর্থিক উন্নয়নের লক্ষ্যে শালপাতার ক্লাস্টার তৈরির প্রস্তাব দেন। বন আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশও দেন। কয়েক মাস আগে কাঁকসায় বন দফতরের দেউল রিসর্টে শুরু হয় শালপাতার ক্লাস্টার তৈরির কাজ। আদিবাসী মহিলাদের প্রধান জীবিকা জঙ্গল থেকে শালপাতা সংগ্রহ করে সেলাই করে বাজারে বিক্রি করা। কিন্তু থালা তৈরির প্রশিক্ষণ না থাকায় বিপণন হত না। তা নিরসনে বন দফতর কাঁকসার গৌরাঙ্গপুর, খেড়োবাড়ি, নিমটিকুড়ি সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করে। প্রাথমিক কাজ শুরুর জন্য বেশ কয়েকটি সেলাই মেশিন ও শালপাতার থালাবাটি তৈরির মেশিনও দেওয়া হয়। কাঁকসা ব্লক তৃণমূল সভাপতি ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য বলেন, অত্যাধুনিক মেশিনে প্রস্তুত শালপাতার থালাবাটির ভাল বাজার রয়েছে। বিপণনের ব্যবস্থাও করছে বন দফতরই।

Latest article