সুমন তালুকদার বসিরহাট: মহিলাদের স্বনির্ভর করার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। তারই অঙ্গ হিসেবে মহিলাদের রোজগার বাড়াতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় সর্বপ্রথম পরীক্ষামূলকভাবে মুক্তো চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তাতেই সাফল্যের পাশাপাশি বড় অঙ্কের আয়ের সম্ভাবনা দেখছেন বসিরহাটে মিনাখাঁ ব্লকের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।
আরও পড়ুন-দেশে বেড়ে চলেছে নারী ও শিশু নিগ্রহ, অভিষেকের প্রশ্নে স্বীকার করল কেন্দ্র
মিনাখাঁ ব্লকের মালঞ্চ এলাকার একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ৩০ জন মহিলা মিলে সরকারি উদ্যোগে এই চাষ শুরু করেছিলেন। প্রথমে তাঁদেরকে সরকারি উদ্যোগে যাদবপুরের বিবি অসপিসিয়াস প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থা দ্বারা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তার জন্য সরকারের তরফে ব্যয় হয় ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। প্রশিক্ষণ পেয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা স্থানীয় ৩টি পুকুরে পরীক্ষামূলকভাবে মুক্তো চাষ শুরু করেন। নতুন বছরের শুরুতেই ওই বিশেষ ধরনের ঝিনুক থেকে দুটি করে মুক্তো পাওয়া যাবে। মিনাখাঁর সদ্যপ্রাক্তন বিডিও কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, যে সংখ্যক ঝিনুক ছাড়া হয়েছিল, তার ৮০ শতাংশ বেঁচে আছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা জানান, প্রাথমিক অবস্থায় ঝিনুক নষ্টের পরিমাণ একটু বেশি হয়ে থাকলেও পরবর্তী পর্যায়ে এই হার ৫ শতাংশে নেমে আসবে। ফলে আয় ক্রমশ ভাল হবে বলেই আশা করা হচ্ছে। তিনটি পুকুরে মোট ৩০০ ঝিনুক ছাড়া হয়েছিল। হিসেব অনুযায়ী মুক্তো পাওয়া যাবে ৪৮০টি। মুক্তোর ২ ধরনের গ্রেড হয়।
আরও পড়ুন-২৩ ডিসেম্বর শান্তিনিকেতন গৃহে সানাইয়ের সুরে হবে সূচনা ঐতিহ্যের পৌষ-উৎসব
একটি গ্রেড়ের প্রতিটির দাম ৮০-১৫০ টাকা, অন্য গ্রেডের প্রতিটির দাম ৬০-৮০ টাকা। সেক্ষেত্রে ৪৮০টি মুক্তোর আনুমানিক বাজার দর ৪৮ হাজার টাকা। এই চাষের জন্য খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। ফলে লাভের অঙ্ক শতাংশ হিসেবে দাঁড়াবে প্রায় ১৪০ শতাংশ। এই চাষে সাফল্য এলে আরও বেশি সংখ্যক পুকুরে মুক্তো চাষের পরিকল্পনা নেওয়া হবে। জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী বলেন, আমরা পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু করেছিলাম মুক্তো চাষ। সাফল্য এলে ভবিষ্যতে স্বনির্ভর গোষ্ঠী মহিলাদের দিয়ে আরও মুক্তো চাষ করানো হবে।