প্রতিবেদন : ফের খবরের শিরোনামে মহারাষ্ট্র। এবার জমি কেলেঙ্কারির ঘটনায় অভিযুক্ত শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতকে (Sanjay Raut) টানা ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পরে নিজেদের হেফাজতে নিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। পরপর দু’বার সমন পাঠানোর পরেও ইডির দফতরে হাজির হননি শিবসেনার রাজ্যসভা সাংসদ রাউত। সমন পাওয়ার পরেও হাজিরা না দেওয়ার রবিবার সকাল ৭টায় তাঁর ভান্ডুবের বাড়িতে কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ইডির আধিকারিকরা হানা দেন। পাটরা চাউল জমি দুর্নীতি মামলায় এই অভিযান বলে ইডি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: চোখের জলে চিরবিদায় নির্মলা মিশ্রর
রবিবার সকাল থেকেই তাঁকে (Sanjay Raut) জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন ইডির আধিকারিকরা (ED)। প্রায় ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে হেফাজতে নেয় ইডি। তদন্তে অসহযোগিতা করার কারণেই রাউতকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান ইডি আধিকারিকরা। রাউতকে আটক করার খবর সামনে আসতেই তাঁর বাড়ির সামনে হাজির হয় বহু শিবসৈনিক। তাঁরা ইডির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি, রাউতকে ফাঁসানো হচ্ছে। উদ্ধব ঠাকরে ঘনিষ্ঠ রাউত নরেন্দ্র মোদির কট্টর সমালোচক হিসেবেই পরিচিত। সে কারণেই তাঁকে এভাবে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এদিন রাউতকে ইডি হেফাজতে নেওয়ায় ফের একবার মহারাষ্ট্রের রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এদিন ইডির অভিযান শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্যুইটারে কড়া প্রতিক্রিয়া জানান রাউত। তিনি ট্যুইট করেন, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা আনা হয়েছে। সমস্ত অভিযোগই ভুয়ো। তিনি কোনও কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত নন। বালসাহেব ঠাকরের নামে শপথ করে তিনি বলতে পারেন তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। ঠাকরে তাঁকে শিখিয়েছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। সেই আদর্শকে সামনে রেখে তিনি মৃত্যুর মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন। কোনও অবস্থাতেই তিনি ইডির চাপের কাছে মাথা নত করবেন না। তিনি মরে গেলেও শিবসেনা ছাড়বেন না। ইডির আটকের পর রাউত বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেভাবে মিথ্যে তথ্যপ্রমাণ এনে ও সাক্ষীদের মেরে ধরে বক্তব্য আদায় করা হয়েছে তা স্রেফ মহারাষ্ট্র ও শিবসেনাকে দুর্বল করাও চেষ্টা। কিন্তু শিবসেনা দুর্বল হবে না। মহারাষ্ট্র কমজোর হবে না। সঞ্জয় রাউত ঝুঁকেগা নেহি। ছেড়ে কথা বলবে না। ২০২০ সালে মুম্বইয়ের পাটরা চাউল নামে একটি আবাসন প্রকল্পে এক হাজার কোটি টাকার বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় শিবসেনার এই সাংসদের নাম জড়িয়েছে।