প্রতিবেদন : সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি পরলে কী হবে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আসল রূপ প্রকৃতপক্ষে কী তা প্রকাশ্যে এসেছে বারবার। ভোট প্রচারের মাঝখানে ফের রাজনৈতিক নোংরামি দেখল গোটা বাংলা। তার জন্য এতটুকু অনুতাপ বা পরিতাপ নেই। বরং বুক ফুলিয়ে গদ্দার অশ্লীল গালাগালি দিল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে থেকে পুলিশকে হুমকি দিয়ে লেজ গুটিয়ে পালাল। ঘটনার পর তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে সেই ন্যক্কারজনক ঘটনার ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, বিজেপির (Shame On BJP) নারীশক্তি সম্মানের এই হল ‘মডেল’। দেখুন এবং বিশ্বাস করুন। মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ধিক্কার জানিয়ে বলেন, যতরকমভাবে নারীজাতিকে অসম্মান করা সম্ভব, তার একটিও বাদ রাখছেন না বিজেপির নেতা-কর্মীরা! সেই তালিকায় নবতম সংযোজন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মহিলাদের উদ্দেশ্য করা অকথ্য সম্বোধন! নারীর অসম্মানের জবাব দেবে বাংলার নারীশক্তিই!
আরও পড়ুন- চুক্তি সংশোধনের প্রস্তাব হামাসের
ঘটনাস্থল বাঁকুড়ার সিমলাপাল। সে পথ দিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার মহিলারা প্রতিবাদ জানাতে স্লোগান দিচ্ছিলেন। সন্দেশখালির চক্রান্তকারী বলে চিহ্নিত করছিলেন তাঁরা। মিরজাফর এবং গদ্দার শব্দগুলো স্লোগান থেকে ভেসে আসতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে থাকা গদ্দার বীরত্ব দেখাতে গাড়ি থেকে নেমে পড়ে। দাবি, এটা নাকি মস্তানি! যদিও তার গাড়ি কেউ আটকায়নি। রাস্তার পাশ থেকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন মহিলারা। যেভাবে সন্দেশখালিতে ২ হাজার টাকার বিনিময়ে মহিলাদের দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ভুল বুঝিয়ে করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধেও স্লোগান দিচ্ছিলেন তাঁরা। তা পছন্দ না হওয়ারই কথা। কারণ বাংলার মানুষ সন্দেশখালির চক্রান্তকারীকে চিনে নিয়েছেন। ভোটের মাঝে বিজেপির সব চক্রান্ত ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে। তাই টেনশন ছিল মাথার মধ্যে। প্রথমেই পুলিশকে আক্রমণ। এরপর তেড়ে যায় মহিলাদের দিকে। তখন চলছে জয় বাংলা স্লোগান। সে শুনে মাথা গরম হয়ে যায় বাংলার তথাকথিত বিরোধী দলনেতার। মহিলাদের উদ্দেশ্য করে গালাগালি করে। একবার নয় বারবার। শুধু তাই নয়, এমনকী মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করেও নোংরা শব্দ উচ্চারণ করতে এতটুকু বাধেনি। আসলে শুধু গদ্দার নয়, বিজেপি (Shame On BJP) দলটাই মুখে নারীশক্তির কথা বললেও আসলে যে ধারণা পোষণ করে সেটাই এদিন প্রকাশ্যে চলে এসেছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে মাত্র কয়েকটি শব্দ লিখেছেন। আর সেটাই বিজেপির আসল চরিত্র বোঝার জন্য যথেষ্ট। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, সন্দেশখালির মিথ্যাচার থেকে শুরু করে রাজ্য জুড়ে বিজেপির চক্রান্তের বিরুদ্ধে মানুষ গর্জে উঠছে। মহিলারা সন্দেশখালি নিয়ে বিরক্ত-ক্ষুব্ধ-অপমানিত। তার ছাপ গিয়ে পড়ছে গ্রামবাংলায়। ফলে তাঁরা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। কিন্তু প্রতিবাদের প্রত্যুত্তরে এভাবে সম্বোধন! এভাবে গালাগালি! এভাবে অপমান! বাংলার সংস্কৃতি কোথায় নিয়ে যাচ্ছে বিজেপি আর তার তল্পিবাহকরা? যে অন্যায় ওরা করছেন, তার যোগ্য জবাব বাংলার নারীশক্তিই দেবে।