প্রতিবেদন : দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে মণিপুরে চলা জাতিদাঙ্গা থামাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ কেন্দ্র ও রাজ্যের ডবল ইঞ্জিন বিজেপি সরকার। যদিও দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের জোরালো দাবি সত্ত্বেও মণিপুর নিয়ে আলোচনায় রাজি হয়নি মোদি সরকার। আগাগোড়া মণিপুরের বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে মোদি সরকার।
আরও পড়ুন-বাইডেনের বেফাঁস মন্তব্যে ফের বিতর্ক
দেশে ধমকে চমকে মণিপুর সংক্রান্ত আলোচনা বন্ধ রাখতে পারলেও বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে মুখ পুড়ল মোদি সরকারের। ইউরোপীয় পার্লামেন্টে জরুরি ভিত্তিতে আলোচনা হল মণিপুরের দাঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে। শুধু আলোচনাই নয়, সংসদে মণিপুর নিয়ে একটি প্রস্তাবও গৃহীত হয়েছে। শত চেষ্টা করেও ভারত এই আলোচনা থেকে ইউরোপীয় পার্লামেন্টকে আটকাতে পারেনি।
আরও পড়ুন-প্রিগোজিন সম্ভবত বেঁচে নেই, দাবি প্রাক্তন মার্কিন সেনাকর্তার
প্রথম থেকেই ভারত জানিয়েছিল যে, মণিপুরের বিষয়টি একেবারেই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু ইউরোপীয় পার্লামেন্ট মোদি সরকারের ওই কথায় সন্তুষ্ট হয়নি। জানা গিয়েছে, ইউরোপীয় পার্লামেন্টে মণিপুর নিয়ে আলোচনার জন্য একটি প্রস্তাব আসে। গণতন্ত্র, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং আইনের শাসন এই শিরোনামে আলোচনা হয়। ইউরোপীয় পার্লামেন্টে আনা আলোচনার প্রস্তাবে মণিপুরের ঘটনার জন্য দেশের বিজেপি সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছে ইউরোপীয় সংসদ। তারা স্পষ্ট জানিয়েছে, ভারতের শাসক দল বিজেপির জাতীয়তাবাদের হুংকারই পরিস্থিতি ঘোরালো করে তুলেছে। তাদের বিভিন্ন উসকানিমূলক মন্তব্য হিংসায় ইন্ধন জুগিয়েছে।
আরও পড়ুন-মেসির মুখে ফের অবসরের ইঙ্গিত
একই সঙ্গে ইউরোপীয় সংসদ ভারত সরকারকে অবিলম্বে জাতিগত ও ধর্মীয় হিংসা বন্ধ করতে এবং সমস্ত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ইউরোপীয় সংসদে গৃহীত প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি অসহিষ্ণুতা ক্রমশ বাড়ছে। যা হিংসায় পরিণত হচ্ছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই বিভাজনমূলক নীতি নিয়ে চলেছে বিজেপি সরকার। ওই প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, মণিপুরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার উপরেও হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। ইউরোপীয় সংসদে গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সরকারের উচিত আরও সহিষ্ণু হওয়া, সংবেদনশীল আচরণ করা। ইন্টারনেট পরিষেবার উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে স্বাধীন তদন্তের অনুমতি দেওয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে ।
আরও পড়ুন-নন্দীগ্রামে বিজেপির নৃশংস সন্ত্রাস
ইউরোপীয় সংসদে মণিপুর নিয়ে যে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেনি বিদেশমন্ত্রক। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই কংগ্রেস কটাক্ষ করেছে প্রধানমন্ত্রীকে। তারা বলেছে, মোদি দেশের মাটিতে মণিপুরের হিংসা নিয়ে নীরব। কিন্তু ফ্রান্সে গিয়ে তিনি হয়তো এ বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেবেন।