প্রতিবেদন : রামমন্দিরের (Ram Mandir Inauguration) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে বিজেপি রাজনৈতিক গিমিকে পরিণত করেছে। তাই সেই অনুষ্ঠান বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশের চার শঙ্করাচার্য। কেন তাঁরা উপস্থিত থাকবেন না, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন প্রাণপ্রতিষ্ঠার রীতি নিয়ে। অসম্পূর্ণ মন্দিরে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা ধর্মীয় নীতি মেনে হচ্ছে না বলে বিষোদ্গার করেছেন তাঁরা। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের মুখে তড়িঘড়ি রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকার তথা প্রধানমন্ত্রীকে একহাত নিতেও পিছপা হননি জোশীমঠ ও পুরীর শঙ্করাচার্য। পুরীর শঙ্করাচার্য নিশ্চলানন্দ সরস্বতী তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা করবেন, আর আমরা কি বাইরে বসে হাততালি দেব? তাঁর সাফ কথা, ঐতিহ্য এবং পরম্পরা জলাঞ্জলি দিতে পারব না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপর তিনি বেজায় চটেছেন। এক সাক্ষাৎকারে পুরীর শঙ্করাচার্য বলেন, এটা কোনও অহংকারের বিষয় নয়। এটা মর্যাদার প্রশ্ন। শঙ্করাচার্যদের নিজস্ব মর্যাদা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বিগ্রহ স্পর্শ করে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা করবেন আর আমরা বসে বসে দেখব আর বাইরে বসে হাততালি দেব, সেটা মর্যাদা হানিকর।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর গড়া অ্যাকাডেমির উদ্যোগে কাঁসাইপাড়ে টুসু পরব
অসম্পূর্ণ মন্দিরে (Ram Mandir Inauguration) সনাতনী রীতি মেনে রামলালার যে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হচ্ছে না, সে প্রশ্ন তুলে ব্যাখ্যা দিয়েছেন জোশী মঠের শঙ্করাচার্য। উত্তরাখণ্ডের জ্যোতিষপীঠের শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী বলেন, সনাতন ধর্মের রীতি লঙ্ঘিত হচ্ছে। তাই রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা সম্ভব নয়। মন্দিরের নির্মাণকাজ শেষ না করে ভগবান রামের মূর্তি স্থাপনা সনাতন হিন্দু ধর্মের রীতি বিরোধী। অসমাপ্ত মন্দিরে ভগবান রামের প্রাণপ্রতিষ্ঠা সঠিক পদক্ষেপ নয়। তা মেনে নেওয়া যায় না। কেন এত তাড়াহুড়ো, কেন মন্দিরের কাজ সম্পন্ন না করেই রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা, সে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। উল্লেখ্য, উত্তরাখণ্ডের জ্যোতিষপীঠ, গুজরাতের দ্বারকা, ওড়িশার পুরীর গোবর্ধনপীঠ এবং কর্নাটকের শ্রীঙ্গেরির শঙ্করাচার্য রামমন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন।