অসীম চট্টোপাধ্যায় আসানসোল : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন গ্রেট লিডার। আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে জয় মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়। মঙ্গলবার সকালে আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা এলাকায় এক কর্মিসভায় এমনই বললেন আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। বার্নপুরের সম্প্রীতি হলে ছিল এদিনের দ্বিতীয় সভা। শত্রুঘ্ন সিনহা মঞ্চে উঠতেই বেজে উঠল গান, ‘‘জিন্দেগি কা নাম দোস্তি, দোস্তি কা নাম জিন্দেগি”।
আরও পড়ুন-ফের রানওয়েতে ফাটল
এমন উষ্ণ অভ্যর্থনায় আবেগরুদ্ধ হয়ে পড়েন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। মনোনয়ন জমার পর এদিন সকালে শত্রুঘ্ন সিনহার প্রথম কর্মিসভা শুরু হয় জামুড়িয়ার টাউন হলে। দ্বিতীয় কর্মিসভা ছিল বার্নপুরে। এরপর বিকেলে অন্ডাল হয়ে শেষ সভা হয় রানিগঞ্জে। জামুড়িয়ার সভায় বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ নেই। আমি একটা খোলা বইয়ের মতো। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকাকালীন কোনও ভেদাভেদ করিনি। তাঁকে বহিরাগত তকমা দেওয়ায় আক্ষেপ করেন তিনি। বক্তব্যে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী একাধিক বাংলা ছবির কথা উল্লেখ করেন ও বাংলায় বেশকিছু কথাও বলেন। যদি আসানসোলে আমি বহিরাগত হই তাহলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বেনারসে বহিরাগত বলে বিজেপিকে কটাক্ষ করেন তিনি। জামুড়িয়ার কর্মিসভায় উপস্থিত ছিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমুল কংগ্রেস সভাপতি বিধান উপাধ্যায়, বিধায়ক হরেরাম সিং সহ তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর ও নেতারা। বার্নপুরের কর্মিসভায় শত্রুঘ্ন সিনহা যখন আসেন তখন হল একবারে ভিড়ে ঠাসা। এমনকী মাটিতেও বসে পড়েন কর্মীরা।
আরও পড়ুন-পাচারের আগে উদ্ধার সাত হাতি, আটক ১৮
মঞ্চে ছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, তৃণমুল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক ভি. শিবদাসন দাশু সহ বার্নপুরের নেতৃবৃন্দ। এদিন শত্রুঘ্ন সিনহা আবেগ জড়ানো গলায় বলেন, ‘‘আমি আমার নিজের আসানসোলে নিজেদের মানুষের কাছে এসেছি। আপনারা আমাকে এত ভালবাসায় গ্রহণ করেছেন, আমি কৃতজ্ঞ। আপনাদের ভালবাসা আমাকে শুধু মন্ত্রমুগ্ধ করেনি, বশীভূত করে দিয়েছে। আমি বিক্রি হই বা না হই আপনারা আমাকে কিনে নিয়েছেন।” এদিন এফডিআই নিয়ে কেন্দ্রের কড়া সমালোচনা করেন শত্রুঘ্ন সিনহা। তিনি বলেন, কেন্দ্র এফডিআই করছে। প্রচুর মানুষের চাকরি চলে যাচ্ছে। আপনার সমস্যার কথা তারা বলবে না। আপনার সমস্যার কথা কংগ্রেসও বলবে না। সুতরাং আগামী দিনে বিকল্প শক্তি হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনাদের সমস্যার সমাধান করবেন।
আরও পড়ুন-গন্ডার শুমারের জন্য প্রশিক্ষণ বনকর্মীদের
শত্রুঘ্ন বলেন, ‘‘আপনারা দেখতে পেলেন তো উত্তরপ্রদেশের ভোটে জেতার পরেই রান্নার গ্যাসের দাম বেড়ে গেল। পেট্রোল ও ডিজেলের দামও বাড়ল। এইভাবে মানুষের উপর অত্যাচার করছে বিজেপি। তাই আগামী দিনে বিজেপিকে উৎখাত করতে হবে দেশ থেকে। তবেই মানুষ ভাল থাকবে। সেই কাজ একমাত্র করতে পারেন গ্রেট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।