প্রতিবেদন : বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে আস্থাভোটে জয়ী হয়েছে একনাথ শিন্ডে সরকার। কিন্তু এই সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রথম দিনেই প্রশ্ন তুললেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। এই প্রবীণ নেতা সোমবার সাফ জানালেন, এই সরকার বড়জোর ছয়মাস টিকবে। কারণ বিজেপি ছয়মাসের বেশি এই সরকারকে সমর্থন দেবে না। নিজেদের কাজ গুছানো হয়ে গেলেই শিন্ডে সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নেবে বিজেপি। কারণ এটাই ওদের চরিত্র। নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি হয়ে গেলে শিন্ডেকে ছুঁড়ে ফেলে দিতে দ্বিধা করবে না গেরুয়া দল।
আরও পড়ুন-অগ্নিপথ নিয়ে আগামী সপ্তাহে শুনানি কোর্টে
অর্থাৎ ছয় মাস পরেই বিধানসভার অন্তর্বর্তী নির্বাচন। শিন্ডে সরকারের আয়ু নিয়ে মন্তব্য করার পাশাপাশি পাওয়ার দলের বিধায়কদের এখন থেকেই পরবর্তী নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করার পরামর্শও দিয়েছেন। নতুন স্পিকার রাহুল নরবেকরকেও কটাক্ষ করেছেন পাওয়ার। তিনি বলেছেন, রাহুল এক সুযোগসন্ধানী মানুষ। শিবসেনায় থাকার সময় রাহুল ছিল উদ্ধবে ঘনিষ্ঠ। আবার রাহুল যখন এনসিপিতে ছিল তখন আমার ঘনিষ্ঠ ছিল। এখন বিজেপিতে দেবেন্দ্রর ঘনিষ্ঠ হয়েছে। এ ধরনের সুযোগসন্ধানী মানুষের থেকে সতর্ক থাকার জন্য শিন্ডেকে পরামর্শ দিয়েছেন এনসিপি সুপ্রিমো।
আরও পড়ুন-আদিবাসী মহিলাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার চেষ্টা মধ্যপ্রদেশে
যথারীতি এই মন্তব্যের জন্য পাওয়ারের সমালোচনা এসেছে বিজেপি শিবির থেকে। যদিও পাওয়ারের বক্তব্যকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না রাজনৈতিক মহল। তাঁরা মনে করছেন পাওয়ারের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা বিপুল। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে যথাযথ আঁচ করতে পেরেছেন। আপাতত শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী করে সমর্থন জোগালেও বিজেপি যে দীর্ঘদিন ধরে সমর্থন চালিয়ে যাবে তা নয়। নিজেদের আখের গুছানো হয়ে গেলেই তারা শিন্ডের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করবে। বিজেপির এ ধরনের কাজের একাধিক নজির রয়েছে। তাই নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহর দলকে বিশ্বাস করা যায় না। তাই ছয় মাস বা তার বেশি, কতদিন পর বিজেপিকে শিন্ডেকে পথে বসিয়ে ছাড়ে সেটাই এখন দেখার। বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মুখ্যমন্ত্রী হতে না পেরে ইতিমধ্যেই প্রবল ক্ষুব্ধ।