প্রতিবেদন : দুটি দৃশ্য। বিজেপির মিথ্যাচার প্রকাশ্যে ফাঁস। প্রয়াগরাজে আতিক (Atiq Ahmed Murder Case) ও আসরফকে খুনের পর অপরাধীরা জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিচ্ছিল। বিজেপি বলতেই পারে যে তাদেরকে বিপদে ফেলতেই জয় শ্রীরাম স্লোগান। কিন্তু স্মৃতি ইরানির সঙ্গে খুনে অভিযুক্ত এক অপরাধীর বৈঠক কী করে এড়াবে বিজেপি? যদিও ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং ছবির সত্যতা যাচাই করেনি জাগোবাংলা। তিন হত্যাকারী কারা? প্রথমজন লবকেশ তেওয়ারি। ছেলের সঙ্গে পরিবারের কোনও সম্পর্ক নেই, জানিয়েছেন যজ্ঞ তেওয়ারি। জেলে ছিল। বহুদিন কথা হয়নি। মাদকাসক্ত। ক্রস ফায়ারিংয়ে লবকেশের পায়ে গুলি লাগে। হাসপাতালে। ১৪ মামলায় অভিযুক্ত সানি সিং। বাবা মারা যাওয়ার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিক্রি করে বাড়ি ছাড়ে। মা-ভাইদের সঙ্গে পাঁচ বছর দেখা-সাক্ষাৎ নেই। সানির ভাই পিন্টু সিং বলছে, দাদা কোনও কাজ করত না। কীভাবে অপরাধী হল তাও জানি না। তৃতীয় হত্যাকারী অরুণ মৌর্য অনেক ছোট বয়সে বাড়ি ছাড়ে। ২০১০ সালে ট্রেনে এক পুলিশকর্মীকে খুন করে খবরে আসে। এরপর দিল্লিতে কারখানায় নাকি কাজ করত। মাঝে মাঝে প্রয়াগরাজে আসত। তিনজনেই সাংবাদিকের ভুয়ো পরিচয়পত্র গলায় ঝুলিয়ে আতিক-আসরাফ (Atiq Ahmed Murder Case) পুলিশের গাড়ি থেকে নামতেই সামনে চলে আসে। ক্যামেরা আর বুমের সঙ্গেই লুকোনো ছিল দামি পিস্তল। কিছু বোঝার আগেই ১৮ রাউন্ড গুলি। অপরাধীরা কর্মকাণ্ডে বুঝিয়ে দিয়েছে তারা আসলে বিজেপি কর্মী। নইলে মন্ত্রীর বৈঠকে কী করছিল লবকেশ? জয় শ্রীরাম স্লোগান সেই ধারণা আরও তীব্র করেছে। পুলিশ যেভাবে কোমর ধরে গুলি আটকানোর চেষ্টা করছিল, তাতে প্রমাণিত আসলে সাজানো চিত্রনাট্য।