মুম্বই, ১৮ এপ্রিল : এমবাপে গোল করে যা করেন, হ্যাটট্রিকের পর সেটাই করলেন যুজবেন্দ্র চাহাল। আধশোয়া হয়ে বসে পড়লেন মাঠে। তাঁকে ঘিরে উচ্ছ্বাস। আর তিনি মিটিমিটি হাসছেন। এটাই সেলিব্রেশন।
শ্রেয়স ফিরে গিয়েছেন। নাইটদের ঘাড়ের উপর হারের নিশ্বাস পড়ছে। গোটা ছবিটাই একটু একটু করে সাজিয়ে দিলেন চাহাল। পার্পল ক্যাপ কেন তাঁর কাছে, বোঝা গেল ব্রেবোর্নে। শ্রেয়স প্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন ম্যাচটা। কিন্তু চাহালের ৪-০-৪০-৫ সব হিসাব উল্টে দিল। কেকেআর দারুণ তাড়া করেও হেরে গেল ৭ রানে। শ্রেয়সের ৮৫ রান কোনও কাজে এল না। তাঁরা অলআউট ২১০ রানে।
আরও পড়ুন-মহিলা তৃণমূলের নতুন কমিটিতে স্থগিতাদেশ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের
রাজস্থানের ২১৭ এবারের আইপিএলে সবথেকে বেশি রান। এত রান তাড়া করতে গেলে নাইটদের আউট অফ দ্য বক্স টিক করতে হত। তারা নারিনকে ফিঞ্চের সঙ্গে পাঠিয়ে সেটা করেছিল। এটা অবশ্য পুরনো ফর্মুলা। যা সোমবার কাজ করেনি। নারিন রান আউট হয়ে গেলেন প্রথম বলে। তাতে ক্ষতি বিশেষ হয়নি। শ্রেয়স এলেন। আর নাইটদের সেরা পার্টনারশিপটা এল এরপরই। দ্বিতীয় উইকেটে ফিঞ্চ আর শ্রেয়স মিলে তুলে দিলেন ১০৭ রান। নাইটদের ফাইটব্যাকের সেটাই শুরু। ফিঞ্চ অস্ট্রেলিয়ার সাদা বলের ক্যাপ্টেন। এই দলে তাঁদের টেস্ট অধিনায়কও রয়েছেন। তিনি প্যাট কামিন্স।
আরও পড়ুন-খাস কলকাতায় শ্যুটআউট, গুলিবিদ্ধ ২
ফিঞ্চ যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন, রাজস্থান চাপে ছিল। কিন্তু ২৮ বলে ৫৮ করে প্রসিধকে উইকেট দিয়ে গেলেন তিনি। নীতীশ (১৮) আর রাসেলের (০) উইকেটও পরপর চলে যাওয়ায় একসময় কেকেআরের রান দাঁড়াল ১৪৯/৪। কিন্তু ততক্ষণে শ্রেয়স দাঁড়িয়ে গিয়েছেন। নাইট অধিনায়ক যেভাবে খেললেন তাতে মনে হচ্ছিল জেতা সম্ভব। কিন্তু চাহাল এসে সব তালগোল পাকিয়ে দিলেন। তাঁর হ্যাটট্রিকেই আশার সমাধি। তবু শেষদিকে উমেশ (২১ নট আউট) একটা ক্যামিও করে গেলেন। কিন্তু প্রথম ম্যাচে নেমে ঠান্ডা মাথায় ওবেদ ম্যাকয় তাঁকে থামিয়ে দেন।
কামিন্সের মতো এত অভিজ্ঞ বোলার থাকতে নতুন বল কেন মাভির হাতে গেল, এই প্রশ্ন উঠছে। আর ওঠা স্বাভাবিক। যেহেতু পারিক্কালকে পাশে নিয়ে প্রথম ওভার থেকে ধুন্ধুমার শুরু করে দিয়েছিলেন বাটলার। টেনেটুনে ১৪০ কিমির মাভি তাঁর সামনে কোনও ছাপ রাখতে পারেননি।
আরও পড়ুন-ভারতের নয়া সেনাপ্রধান হলেন মনোজ পাণ্ডে
এদিন চ্যালেঞ্জ ছিল বাটলারকে দ্রুত ফেরানো। কিন্তু হয়নি। ফলে রাজস্থান ২১৭/৫ তুলে ফেলল অনায়াসে। ব্রেবোর্নের উইকেটে শুরুর যে অ্যাডভান্টেজ সিমারদের জন্য ছিল, সেটা কামিন্সের মতো কেউ কাজে লাগাতে পারতেন। কিন্তু অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক এলেন পরে। ততক্ষণে ইংল্যান্ড ওপেনার ওয়েল সেট। শেষমেশ আরও একটা সেঞ্চুরি। ৬১ বলে ১০৩। চলতি আইপিএলে দ্বিতীয়। ন’টি চার, পাঁচটি ছক্কা। তবে বাটলারের উইকেট শেষপর্যন্ত গেল কামিন্সের পকেটেই।
আরও পড়ুন-বেহাল অর্থনীতি সৌজন্যে মোদি সরকার
আইপিএলে নিজের ১৫০তম ম্যাচে ২১ রানে ২ উইকেট নিলেন সুনীল নারিন। দশ বছরেও তাঁর রহস্য এখনও ভেদ করতে পারেনি ব্যাটাররা। কিন্তু নারিনের পাশে বরুণের সব রহস্য ধরা পড়ে গিয়েছে। সোমবার তাঁকে পুরো কোটার বল করানো যায়নি। এদিন দু’ওভারে ৩০ রান দিয়ে গেলেন বরুণ। তবে কামিন্স চার ওভারে ৫০, উমেশ চার ওভারে ৪৪ রান দিয়ে পিছিয়ে থাকেননি। এতে একটা জিনিস স্পষ্ট, নারিন বাদে কেউ রাজস্থান ব্যাটিংয়ের সামনে সুবিধা করতে পারেননি। রাসেল যেমন শেষ ওভারে দিয়ে গেলেন ১৮ রান। বাটলার ছাড়া সঞ্জু স্যামসন ৩৮ ও হেটমেয়ার ২৬ নট আউট থেকে গেলেন।