মুখ্যমন্ত্রী পদে নাম শিবকুমার, সিদ্দারামাইয়ার

Must read

প্রতিবেদন : কে হবেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী? কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব এতদিন ধরে এ বিষয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। বলা হয়েছে, ভোটের পরেই পরিষদীয় দলের সদস্যদের বৈঠকে তা নির্ধারিত হবে। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রবিবার সব জয়ী বিধায়ককে বেঙ্গালুরুতে আসতে বলেছে। কর্নাটকের সমসাময়িক রাজনীতিতে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দুই মুখ সবচেয়ে পরিচিত—২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমার (Siddaramaiah and dk shivakumar)। সিদ্দারামাইয়ার বয়স ৭৬। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আগেই তিনি জানিয়ে দেন, এটাই তাঁর শেষ ভোট। রাজনৈতিক বিশ্লেষণ, এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে তিনি শেষবারের মতো মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবি জানিয়ে রেখেছিলেন। সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah and dk shivakumar) অনগ্রসর ‘কুড়ুবা’ সম্প্রদায়ের মানুষ। কিন্তু রাজ্যের সব জনগোষ্ঠীর মধ্যেই তিনি জনপ্রিয়। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও নেই। তাঁর আমলে প্রশাসনে কুড়ুবা সম্প্রদায়কে বেশি সুযোগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তাতে প্রভাবশালী লিঙ্গায়েত ও ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের মধ্যে কিছুটা অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। কিন্তু এর পরেও কর্নাটকের সামাজিক বিন্যাস, বিশেষ করে অনগ্রসর, তফসিলি জাতি-উপজাতি ও মুসলমানদের সমর্থন কংগ্রেসকে এবার বাড়তি সমর্থন জুগিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রিত্বের বড় দাবিদার সিদ্দারামাইয়া এদিন ‘হাইকমান্ডকে’ খুশি রাখতে বলেন, এই ফল আগামী বছরের লোকসভা ভোট জেতার প্রথম পদক্ষেপ। আশা করি, সব বিজেপিবিরোধী দল জোট বেঁধে বিজেপিকে হারাবে। প্রসঙ্গত, সিদ্দারামাইয়া জনতা দল থেকে জেডিএস এবং সেখান থেকে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রিত্বের অন্য দাবিদার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমার। ৬০ বছরের এই নেতা প্রভাবশালী ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ভুক্ত। ওল্ড মাইসুরুর মোট ৬৪ বিধানসভায় তাঁর প্রভাব। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়া ও তাঁর ছেলে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর দৌলতে যে অঞ্চল একদা জেডিএসকে বিপুলভাবে সমর্থন জানিয়েছে, সেখানে শিবকুমারের দৌলতে প্রভাব বেড়েছে কংগ্রেসের। ডি কে শিবকুমার কর্নাটকের অন্যতম সম্পদশালী নেতা। সফল ব্যবসায়ী। সংগঠক হিসেবেও দারুণ। কংগ্রেসের বিপদে-আপদে, সংকটে বারবার বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছেন। অন্য রাজ্যে কংগ্রেসের সংকটের সময়েও মুশকিল আসান হয়েছেন। তিনি গান্ধী পরিবারের অত্যন্ত বিশ্বাসভাজন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বিস্তর। ইডি, সিবিআই বারবার তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করেছে। ইডি মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলেও ছিলেন। জয় নিশ্চিত হওয়ার পর আবেগাপ্লুত শিবকুমার কেঁদে ফেলে বলেন, সোনিয়া গান্ধীকে আমি কথা দিয়েছিলাম কর্নাটক জিতিয়ে দেব। আমি ভুলতে পারব না, সোনিয়াজি জেলে আমার সঙ্গে দেখা করতে যান।

আরও পড়ুন-মোকার প্রভাব শুরু সুন্দরবনে, সতর্কতা

Latest article