ডিপ্লোমাধারী ডাক্তারদেরও বিশেষজ্ঞের মর্যাদা দেবে কেন্দ্র, আইন সংশোধন করতে চলেছে সরকার

যেসব এমবিবিএস ডাক্তার পিজি ডিগ্রি না নিয়ে ডিপ্লোমা নিয়েছেন তাঁদেরও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মর্যাদা দিতে চায় কেন্দ্র।

Must read

প্রতিবেদন: যেসব এমবিবিএস ডাক্তার পিজি ডিগ্রি না নিয়ে ডিপ্লোমা নিয়েছেন তাঁদেরও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মর্যাদা দিতে চায় কেন্দ্র। ডিপ্লোমাধারী ডাক্তাররা যাতে দেশজুড়ে বিশেষজ্ঞ হিসাবে কাজ করতে পারেন সে বিষয়ে অনুমতি দেওয়ার জন্য নিয়ম সংশোধন করতে চলেছে কেন্দ্র। আগে শুধুমাত্র স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদের যে সমস্ত কাজ করার অনুমতি দেওয়া হত, আইন সংশোধন করে ডিপ্লোমাধারী চিকিৎসকদেরও সেই একই সুযোগ দিতে চায় কেন্দ্র।

আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রী পদে নাম শিবকুমার, সিদ্দারামাইয়ার

এজন্য ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিল আইন ১৯৫৬ পরিবর্তন করা হবে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রক মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে পরামর্শ করে মুম্বইয়ের ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জেনস দ্বারা পরিচালিত সমস্ত ডিপ্লোমা কোর্সগুলির বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এর অর্থ হল, সিপিএস ডিপ্লোমাধারীদেরও এখন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিয়োগ করা যেতে পারে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, বিশেষজ্ঞ, বিশেষ করে স্ত্রীরোগ এবং শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের বিশাল ঘাটতি পূরণ করার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে আবাসিক ডাক্তারদের জন্য দুই বছরের জন্য অন জব প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

আরও পড়ুন-মোকার প্রভাব শুরু সুন্দরবনে, সতর্কতা

প্রশিক্ষণ শেষে সংশ্লিষ্ট শাখায় বিশেষজ্ঞ হিসেবে তাঁরা বিবেচিত হবেন। বর্তমানে অ্যানাসথেসিয়া, পেডিয়াট্রিকস, প্রসূতিবিদ্যা, অর্থোপেডিক্স, রেডিওলজি ও অন্যান্য কিছু ক্ষেত্রে সিপিএস ডিপ্লোমাধারীদের কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়। তবে এই সুযোগ কেবলমাত্র মহারাষ্ট্র এবং গুজরাতেই মেলে। নতুন নিয়মে এ ধরনের ক্ষেত্রেই ডিপ্লোমাধারী চিকিৎসকদের বিশেষজ্ঞের মর্যাদা দেওয়া হবে। বর্তমানে মুম্বইয়ের এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিবছর ৮০০ জন ডাক্তারকে ডিপ্লোমা হোল্ডার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে থাকে। কেন্দ্রের স্বীকৃতি পেলে সেই সংখ্যাটি ১২০০০ -এ পৌঁছবে। দেবী শেঠি নারায়ণ হেলথের চেয়ারম্যান এবং অ্যাসোসিয়েশন অফ হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডার অফ ইন্ডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা এই নিয়ম অনুমোদনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই নতুন পরিকল্পনা গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবাকে আরও শক্তিশালী করবে। এইচপিআইয়ের ডিরেক্টর গিরিধর গিয়ানি বলেছেন, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে শুধুমাত্র বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করে চিকিৎসার উন্নতি করা যাবে না। ডিপ্লোমাধারীদের বিশেষজ্ঞ হিসেবে ঘোষণা করা হলে সেই সুযোগ মিলবে।

আরও পড়ুন-মোকার প্রভাব শুরু সুন্দরবনে, সতর্কতা

রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে বিপুল চাপ কমাতে তিন বছরের ডিপ্লোমাধারী চিকিৎসক তৈরি করা বা বাস্তবমুখী কোনও প্রকল্প গ্রহণ করা যায় কি না তা খতিয়ে দেখতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের কথা বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Latest article