অন্ধকারেও মানুষ অভিষেকের আলোকযাত্রায়

পথ বেঁধে দিচ্ছে বন্ধনহীন জনতা। জনতার বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে বিলম্বিত হচ্ছে যাত্রাপথ। সূর্য পাটে উঠলেও বাতাসের দাহ বাগ মানছে না

Must read

চন্দন মুখোপাধ্যায়, মন্তেশ্বর: পথ বেঁধে দিচ্ছে বন্ধনহীন জনতা। জনতার বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে বিলম্বিত হচ্ছে যাত্রাপথ। সূর্য পাটে উঠলেও বাতাসের দাহ বাগ মানছে না। ঘামে ভিজছে গৌর অঙ্গ। পরনের পোশাক। তবু অমলিন হাসি ঠোঁটে ঝুলিয়ে জনতার আবেগ-আবদার ঠেলে ঠেলে ধীরে আগুয়ান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ যাত্রার রোড-শো। সন্ধ্যাপ্রদীপের শিখা যখন নিভু নিভু, কাটোয়া-মন্তেশ্বর রোডের কুরচি মোড়ে তখন অভিষেকের আলোকযাত্রা। অন্ধকার ফুঁড়ে কাতারে কাতারে মানুষ রাস্তার দু’ধারে অভিষেককে একবার চোখে দেখার অপেক্ষায়।

আরও পড়ুন-ডিপ্লোমাধারী ডাক্তারদেরও বিশেষজ্ঞের মর্যাদা দেবে কেন্দ্র, আইন সংশোধন করতে চলেছে সরকার

দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পা-জোড়া টনটন করছিল সত্তরোর্ধ্ব বিশ্বনাথ মাঝির। কাটোয়ার মুস্থুলি গ্রামের হতদরিদ্র দিনমজুর বিশ্বনাথ অভিষেককে টিভিতে দেখেছেন। সামনাসামনি দেখার বড় সাধ। তবে সাধ যে এভাবে মিটবে কল্পনাও করতে পারেননি বিশ্বনাথ। সামনে এসে দাঁড়ালেন ‘স্বপ্নের ছেলেটা’। নিজের গলার উত্তরীয় খুলে পরিয়ে দিলেন। কয়েকটা কথাও বলেছেন অভিষেক। কী বলেছেন, জানবেন কী করে বিশ্বনাথ। তিনি যে বদ্ধ কালা। তাই শোনার ভান করে শুধু হেসেছেন আর ঘাড় নেড়েছেন। তবে অভিষেক বাবার দেওয়া উত্তরীয়খানা জীবনভর যত্ন করে রেখে দিতে চান বিশ্বনাথ।

আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রী পদে নাম শিবকুমার, সিদ্দারামাইয়ার

কাটোয়া ছেড়ে এসটিকেকে রোড ধরে পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভা এলাকায় যখন অভিষেকের ‘নবজোয়ার যাত্রা’ পৌঁছয়, তখন রাতপাখিদের ডাকাডাকি শুরু। কিন্তু মানুষের ঘরে ফেরার এতটুকু ইচ্ছে নেই। বরং অভিষেক পূর্বস্থলীর শ্রীরামপুর ইউনাইটেড হাইস্কুলের রাত-ঠিকানার দিকে যত এগিয়েছেন, রাস্তার দু’পাশের জনস্রোত তত ভারী হয়েছে। সেই স্রোতে পুরুষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নারী, শিশুদের হাতে হাত রেখে বুড়ো-বুড়ি, শ্রমিকের কাঁধে কাঁধ ঠেকিয়ে কৃষক শামিল হয়েছেন। এইটুকু বয়সে একজন যে আমজনতার এতখানি ভালবাসা পেতে পারে, চোখে না দেখলে বিশ্বাস হয় না।

আরও পড়ুন-মোকার প্রভাব শুরু সুন্দরবনে, সতর্কতা

বিস্ময় এলাকার ২ বিধায়ক স্বপন দেবনাথ (পূর্বস্থলী দক্ষিণ) ও তপন চ্যাটার্জির (পূর্বস্থলী উত্তর)। আর মানুষের এই হৃদয়-নিংড়ানো ভালবাসা-শুভেচ্ছায় অভিভূত অভিষেকের উপলব্ধি, আমার দায়িত্ব অনেকটা বেড়ে গেল। বুঝলাম, মানুষের পঞ্চায়েত গঠন করে বাংলার উন্নয়নকে নয়া উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার পণ নিয়ে যে জনসংযোগ যাত্রা শুরু করেছিলাম, সেই উদ্যোগে মানুষের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আন্তরিকতা না থাকলে এভাবে কোনও কর্মকাণ্ডে মানুষ যোগ দেন না।

Latest article