প্রতিবেদন : করোনার কারণে দু’বছর বন্ধ ছিল চারধাম যাত্রা। চলতি বছরের ৩ মে থেকে নতুন করে শুরু হয়েছে চারধাম যাত্রা। কিন্তু চারধাম যাত্রা শুরুর পর থেকে এখনও পর্যন্ত পথেই ৩৯ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। কেউ মারা গিয়েছেন উচ্চ রক্তচাপজনিত কারণে বা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। কেউ বা মাউন্টেন সিকনেসের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন। পুণ্যার্থীদের মৃত্যু নিয়ে উত্তরাখণ্ড সরকারের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন-শিকড়ের সন্ধানে তৃণমূল নেতৃত্ব গোসানিমারি মন্দিরে
উত্তরাখণ্ড সরকারের দেওয়া সেই রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, মূলত অক্সিজেনের অভাবেই বেশিরভাগ পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিক শৈলজা ভাট জানিয়েছেন, যাত্রাপথের বিভিন্ন জায়গায় তীর্থযাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। যেসব পুণ্যার্থী শারীরিক দিক থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ নন তাঁদের ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। চারধাম যাত্রাপথে বিভিন্ন জায়গায় তীর্থযাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যসচিব আরও জানিয়েছেন, ঋষিকেশ ছাড়াও যমুনোত্রী এবং গঙ্গোত্রী যাত্রাপথে যথাক্রমে ডোবাটা ও হিনায় এবং বদ্রীনাথ ধামের তীর্থযাত্রীদের জন্য পাণ্ডুকেশ্বরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগ, সংস্কারে রাজ্যের তিন কোটি টাকা, নতুন সাজে ঐতিহাসিক বক্সা দুর্গ
স্বাস্থ্য পরীক্ষায় যেসব পুণ্যার্থীর শরীরে কোনও সমস্যা ধরা পড়ছে তাঁদের আপাতত বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সুস্থ হবার পরই তাঁদের চারধাম যাত্রা করতে অনুরোধ করা হয়েছে। তীর্থযাত্রীদের সতর্ক করা হয়েছে, কেদারনাথ, গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রীতে অক্সিজেনের সমস্যা আছে। তাই যাঁদের হার্ট দুর্বল তাঁদের ওই দুর্গম পার্বত্য এলাকায় না যাওয়াই ভাল। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩ মে পুণ্যার্থীদের জন্য গঙ্গোত্রী-যমুনোত্রীর যাত্রাপথ খুলে দেওয়া হয়েছে। কেদারনাথ এবং বদ্রীনাথ যাত্রা শুরু হয়েছে যথাক্রমে ৬ ও ৮ মে।