রেলের কোচে বসে সুখাদ্য, সঙ্গে প্রকৃতির রূপ দর্শন

আপাতদৃষ্টিতে দেখলে মনে হবে কোনও ট্রেন বুঝি দাঁড়িয়ে। কিন্তু ভিতরে ঢুকলেই নাকে আসবে খাবারের সুঘ্রাণ। আমিষ, নিরামিষ দুই-ই আছে।

Must read

বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী আলিপুরদুয়ার: আপনি আগে হয়তো ডুয়ার্সে রাজাভাতখাওয়া, জয়ন্তী ঘুরে গিয়েছেন। প্রকৃতির মাঝে নিজেকে বিলিয়ে অনাবিল আনন্দ উপভোগ করে মুহূর্তগুলো স্মৃতির মণিকোঠায় সযত্নে রেখে দিয়েছেন। তবে আরেকবার আপনাকে আসতেই হবে এই সুন্দর সবুজঘেরা রাজাভাতখাওয়ায়। কারণ আপনার জন্য অপেক্ষা করছে একটি নতুন চমক। পর্যটকদের জন্য রেল দফতর এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে। স্টেশনের পাশেই জঙ্গল ঘেঁষে রেলের কামরায় তৈরি করছে সুদৃশ্য রেস্তোরাঁ। এখানে বসে আপনি প্রকৃতিকে উপভোগ করতে করতে সুস্বাদু খাবারও পেয়ে যাবেন। তার জন্য কাটতে হবে না কোনও টিকিট বা করতে হবে না রেল সফর। অভিনব এই উদ্যোগ উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের।

আরও পড়ুন-জিএসটির নামে প্রতারণা অর্থমন্ত্রীকে নালিশ অমিতের

আপাতদৃষ্টিতে দেখলে মনে হবে কোনও ট্রেন বুঝি দাঁড়িয়ে। কিন্তু ভিতরে ঢুকলেই নাকে আসবে খাবারের সুঘ্রাণ। আমিষ, নিরামিষ দুই-ই আছে। উত্তর-পূর্ব রেলের তরফে এনজেপি স্টেশনে আগেই শুরু হয়েছে কোচ-রেস্তোরাঁ। এবারে কালচিনি ব্লকের বক্সার জঙ্গলের গা ঘেঁষে রাজাভাতখাওয়ায় শুরু হচ্ছে। জোরকদমে কাজ চলছে বলে জানালেন রেলের ডিআরএম। অগাস্ট মাসের শেষেই শুরু হয়ে যাবে। রাজাভাতখাওয়াকে কেন বেছে নেওয়া হল? ডিআরএম জানান, রাজাভাতখাওয়া থেকে জয়ন্তী, বক্সা যাওয়া যায়। কালচিনি, আলিপুরদুয়ারও সামনে। পর্যটকদের সমাগমের বিষয়টি নজরে রেখে কোচ-রেস্তোরাঁর ভাবনা। আগামীতে হাসিমারা স্টেশনেও হবে। স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীদের দাবি, স্থানীয় মানুষের হাতেই রেস্তোরাঁর পরিচালনভার থাকলে স্থানীয় অর্থনীতি লাভবান হবে।

Latest article