প্রতিবেদন : করোনা অতিমারির কারণে দেশের অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলি সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে। বহু সংস্থা বিপন্ন। লোকসভায় লিখিত প্রশ্নে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বর্তমান অবস্থা নিয়ে জানতে চান সাংসদ ও তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাঁর প্রশ্ন ছিল, বর্তমানে দেশে কতগুলি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে? এর মধ্যে কতগুলি প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ মহিলা পরিচালিত? ২০২০ সালে করোনা মহামারী রুখতে লকডাউন জারি করার ফলে এই ধরনের কতগুলি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিয়েছে?
আরও পড়ুন: গোয়ায় ডবল ইঞ্জিন সরকার কী করেছে? মোদিকে প্রশ্ন
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী নারায়ণ রানে স্বীকার করে নেন, করোনাজনিত কারণে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি মানের কতগুলি শিল্প বন্ধ হয়ে গিয়েছে সে বিষয়ে মন্ত্রকের কাছে নির্দিষ্টভাবে কোনও তথ্য নেই। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই শিল্পক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে মোদির রাজ্য গুজরাত। চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গোটা দেশে ৬৯ লক্ষ ৪৬ হাজার ৮৯৫টি সংস্থার নাম নথিভুক্ত রয়েছে। সবচেয়ে বেশি অতিক্ষুদ্র শিল্প রয়েছে মহারাষ্ট্রে। ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গোটা দেশে নথিভুক্ত ক্ষুদ্র শিল্পের সংখ্যা ৩ লক্ষ ২৭ হাজার ৬৮৮। পশ্চিমবঙ্গে নথিভুক্ত ক্ষুদ্র শিল্পের সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার। নথিভুক্ত মাঝারি মানের শিল্পের সংখ্যা ১৬৫৪। অভিষেকের অন্য প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানিয়েছেন, চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গোটা দেশে মহিলা পরিচালিত নথিভুক্ত শিল্পের সংখ্যা ১১ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯৮৯। পশ্চিমবঙ্গে মহিলা পরিচালিত ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পের সংখ্যা যথাক্রমে ১৩০০ ও ৬৪।