পাশ্চাত্য দর্শনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চিন্তাবিদ জর্জ হ্বিলহেল্ম্ ফ্রিডরিখ হেগেল ( জন্ম: ১৭৭০, মৃত্যু: ১৮৩১) জার্মানির স্টুটগার্ডে জন্মগ্রহণ করেন। জার্মান দর্শন ও জার্মান ভাববাদের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। বাস্তবতার ক্ষেত্রে তাঁর ঐতিহাসিক ও ভাববাদী অবস্থান ইউরোপীয় দর্শন, মার্কসবাদ ও মহাদেশীয় দর্শনের অন্যতম বিবেচ্য বিষয়। কারও কারও মতে গত শতকের মার্কস-নিটতসে থেকে শুরু করে প্রপঞ্চবিজ্ঞান (ফেনোমেনোলজি), জার্মান বিদ্যমানতাবাদ (এগজিসটেনশিয়ালিজম), মনঃসমীক্ষণ (সাইকো অ্যানালিসিস) ইত্যাদি সেরা দার্শনিক মতবাদগুলির সূত্রপাত হেগেল-এর থেকেই। জগৎ ও সত্যের ক্ষেত্রে জ্ঞাত ও অজ্ঞাতর দ্বৈত রূপ হেগেল অস্বীকার করলেও তাঁর কাছে মূল হচ্ছে ভাব, বস্তু নয়। যা কিছু জ্ঞাত বা দৃশ্যমান সবই হচ্ছে ভাবের প্রকাশ ও বিকাশ। এছাড়া ভাবের চরম বিকাশ জার্মান রাষ্ট্রযন্ত্রে ঘটেছে বলে হেগেলের রাজনৈতিক ব্যাখ্যা পরবর্তীকালে স্বৈরতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রযন্ত্রের আদর্শ হাতিয়ার রূপে ব্যবহৃত হয়েছে।
আরও পড়ুন-উদ্বাস্তু কলোনি থেকে নোবেল জয়ের বিশ্বলোকে বিজ্ঞানী আডা ই ইয়োনাথ
বস্তুত, হেগেলের দর্শন থেকে উত্তরকালে দুই পরস্পরবিরোধী ধারার বিকাশ ঘটেছে। এর একটি হচ্ছে মার্কসবাদ বা দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আর অন্যটি হচ্ছে নব ভাববাদ ও স্বৈরতান্ত্রিক রাজনৈতিক মতবাদ। হেগেলের লেখা বইগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, ‘দ্য ফেনোমেনোলজি অব স্পিরিট’, ‘সায়েন্স অব লজিক’, ‘এনসাইক্লোপেডিয়া অব দ্য ফিলোজফিক্যাল সায়েন্সেস’ এবং ‘এলিমেন্টস অব দ্য ফিলোজফি অব রাইট’।
আরও পড়ুন-পুজোর লেখালিখি
A man is nothing but the series of his actions.
Amid the pressure of great events, a general principle gives no help.
An idea is always a generalisation, and generalisation is a property of thinking. To generalise means to think.
Education is the art of making man ethical.
Evil resides in the very gaze which perceives Evil all around itself.