সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : হঠাৎই ছেলের ফোন ফোনের ওপার থেকে ছেলে বলছে সন্ধ্যায় টিভির পর্দায় চোখ রেখো। ছেলের কথামত মা সন্ধে থেকে টিভি খুলে রেখেছেন। ঠিক সন্ধ্যে ছ’টা বেজে চার মিনিট যখন গোটা বিশ্বের চোখ ভারতের দিকে তখনই মা টিভির পর্দায় ছেলের ছবি দেখলেন। দেখলেন সেই আনন্দঘন মুহূর্তে অন্যান্য বিজ্ঞানীদের সঙ্গে ছেলের উচ্ছ্বাস। এই ছেলে জলপাইগুড়ি তথা ভারতের গর্ব কৌশিক নাগ।
আরও পড়ুন-চন্দ্রযান ৩-এর ক্যামেরা সিস্টেমের দায়িত্বে ছিলেন উত্তরপাড়ার জয়ন্ত
চন্দ্রযান-৩-এর মিশনে যার অবদান রয়েছে। মা সোনালী নাগ এই বিষয়ে কিছুই জানতেন না। ছেলে যে চন্দ্রযান-৩-এর মিশনের একজন কারিগর। ছেলে কৌশিক নাগের কৃতিত্বের কথা বলতে গিয়ে আনন্দে গলা ধরে এসেছিল সোনালী দেবীর। বুধবার রাতে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের তরফে কৌশিক নাগের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারকে অভিনন্দন জানানো হয়। পাশাপাশি কৌশিকের আগামীর জন্য শুভেচ্ছা জানান তাঁরা। জলপাইগুড়ির৷ এক বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যমের বিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে ২০১১ সালে জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন কৌশিক নাগ।
আরও পড়ুন-পশ্চিমবঙ্গ দিবস চাপিয়ে দেওয়া নয়, আলোচনা চান মুখ্যমন্ত্রী
কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পাশ করে ২০১৮ সালে যোগদান করেন দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোতে। ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২-এর মিশনেও সদস্য ছিলেন কৌশিক। সেবার বাড়িতে আগে থেকে জানলেও এবার কিন্তু মা জেনেছেন বিজয়ধ্বজা ওড়ার কিছুক্ষণ আগে। টিভিস্ক্রিনে ইসরোর বিজ্ঞানীদের উচ্ছ্বাসের ছবিতে গোলাপি শার্ট পরা বছর একত্রিশের কৌশিক নাগকে চিনতে অবশ্য অসুবিধা হয়নি সহপাঠী, স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের। মুহূর্তে সেই ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। জলপাইগুড়ির মোহন্ত পাড়ায় কৌশিকের বাড়িতেও পৌঁছে যায় শুভেচ্ছাবার্তা। কৌশিকের মা বলেন, বিকেল পাঁচটা থেকে টিভি খুলে বসে আছি। সন্ধ্যায় চন্দ্রযান ছুঁল চাঁদের মাটি।