Kolkata Municipal Elections: লক্ষ্য মানব সেবা, চাকরি ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে সৌরভ বসু

Must read

প্রথমবার ভোটের (Kolkata Municipal Elections) লড়াইয়ে নেমে শনিবার গরচা এলাকায় প্রচার করেন সৌরভ বসু। রাজনৈতিক পরিবার থেকে বড় হয়ে উঠলেও উচ্চশিক্ষিত সৌরভ দীর্ঘদিন কর্পোরেট জগতে কর্মরত ছিলেন। এরপর মানব সেবার তাগিদে ও রাজনীতির নেশায় ২০১৮ দলে মোটা টাকার চাকরি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নেন।

কলকাতা পুরসভার ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী (TMC Candidate) হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের (Chandrima Bhattacharya) ছেলে সৌরভ বসু (Sourav Basu)। প্রথমবার প্রার্থী হওয়ার পর সৌরভ বলেন, “শোনার পর যে অনুভুতিটা হয়েছিল সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। তবে আমি যতটা আনন্দিত তার থেকে বেশি গর্বিত। কারণ, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে ৮৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী নির্বাচিত করেছেন বলে। এই ওয়ার্ডেই আমার বড় হয়ে ওঠা। এই ওয়ার্ড থেকেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি। ২০০২ সালে এই ওয়ার্ড থেকেই আমার মা পুরসভা ভোটে (Kolkata Municipal Elections) দাঁড়িয়েছিলেন। তাই এই ওয়ার্ডে সবাই আমার পরিচিত, সবাই আমার প্রতিবেশী, সবাই আমার আত্মীয়। আগামিদিন এই ওয়ার্ডকে আরও সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলতে চাই।”

আরও পড়ুন: KMC Election: প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরেই প্রচারে নেমে পড়ল তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা

জিতে আসার পর ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্য কী পরিকল্পনা রয়েছে সৌরভের?

সৌরভ জানান, “এই ওয়ার্ডে অনেক মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষেরা থাকেন। তাঁদের কোনও আচার-অনুষ্ঠানে কমিউনিটি হল পান না। তাই আমি জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে সর্বপ্রথম একটি কমিউনিটি হল করব। পাশাপাশি রাস্তাঘাট থেকে আলো, জলের আরও সুবন্দোবস্ত করব। সর্বপরি, এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষ যাতে আরও সুন্দরভাবে তাঁদের দৈনন্দিন জীবন-যাপন করতে পারেন, সেদিকেও নজর থাকবে আমার।”

প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরসভার ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডটি ২০১৫ সাল বিজেপির দখলে ছিল। গত পুরসভার নির্বাচনে এখান থেকে জিতেছিলেন বিজেপির তিস্তা বিশ্বাস। সম্প্রতি এক গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় বিজেপি কাউন্সিলর তিস্তার। এ প্রসঙ্গে সৌরভ জানান, “উনি বিজেপি কাউন্সিলর হতে পারেন। রাজনৈতিক মতাদর্শের পার্থক্য থাকলেও তিস্তা বিশ্বাসের সঙ্গে আমাদের প্রতিবেশীর মতো সম্পর্ক। ওনার বাড়ির উল্টোদিকেই আমার বাড়ি। প্রতিদিনই দেখা হতো। যেদিন ঘটনা ঘটলো সেদিন সকালে আমার সঙ্গে কথা হয়েছিল। খুব দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা মেনে নেওয়া মুশকিল। তবে ওনার পরিবারের পাশে আমরা আছি।”

Latest article