বলতে হবে টাকার উৎস, না হলে দিতে হবে ১৩৭ শতাংশ জরিমানা

ব্যাঙ্কের ঝক্কি-ঝামেলা সামলাতে বহু মানুষ তাঁদের সঞ্চিত অর্থ বাড়িতেই রেখে থাকেন।

Must read

প্রতিবেদন : ব্যাঙ্কের ঝক্কি-ঝামেলা সামলাতে বহু মানুষ তাঁদের সঞ্চিত অর্থ বাড়িতেই রেখে থাকেন। কিন্তু বাড়িতে বিপুল পরিমাণ অর্থ গচ্ছিত রাখা যথেষ্ট বিপাকে ফেলতে পারে। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যদি ওই বিপুল পরিমাণ অর্থের উৎস কী, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেন তবে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু যদি টাকার যথাযথ উৎসের কথা বলা না যায় সেক্ষেত্রে আয়কর দফতর ১৩৭ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা আদায় করতে পারে। পাশাপাশি মুখোমুখি হতে হবে ইডির।

আরও পড়ুন-শিয়ালদহে বিপর্যস্ত ট্রেন চলাচল

আর্থিক লেনদেন সম্পর্কে আয়কর দফতরের একাধিক নিয়ম রয়েছে। নিয়মগুলি সকলের জেনে রাখা উচিত। আয়কর দফতরের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও এক আর্থিক বছরে নগদে ২০ লক্ষ টাকার বেশি লেনদেন করলে জরিমানা হতে পারে। নগদে একসঙ্গে ৫০ হাজার টাকার বেশি তোলা বা জমা দিতে গেলে অবশ্যই প্যান নম্বর জানাতে হবে। এক বছরে ২০ লক্ষ টাকা নগদে জমা করতে বা তুলতে হলে অবশ্যই প্যান এবং আধার সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে হবে। নগদে দু’লাখ টাকার বেশি কেনাকাটা করা যাবে না। ২ লক্ষ টাকার বেশি নগদে কেনাকাটা করা হলে দিতে হবে প্যান বা আধার কার্ডের কপি।

আরও পড়ুন-৯০০ কোটির দুর্নীতি, জড়াল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নাম

ব্যাঙ্ক থেকে নগদে দু’কোটি টাকার বেশি তুলতে হলে দিতে হবে টিডিএস। একসঙ্গে ৩০ লক্ষ টাকার বেশি সম্পত্তি ক্রয় ও বিক্রয়ের ক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আয়কর দফতরের নজরে আসতে পারেন। একদিনে আত্মীয়দের কাছ থেকে দু’লাখ টাকার বেশি নগদে নেওয়া যাবে না। দু’লাখ টাকার বেশি নিতে হলে তা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে নিতে হবে। কোনও ব্যক্তি অপরের কাছ থেকে ঋণ হিসেবে ২০ হাজার টাকার বেশি নগদে নিতে পারবেন না। নগদ টাকায় সর্বোচ্চ ২০০০ টাকা চাঁদা দেওয়া যাবে। ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডে পেমেন্ট করার সময় এক লক্ষ টাকার বেশি অর্থ দেওয়া হলে তাও তদন্তসাপেক্ষ। প্যান ও আধার সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া না হলে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।

Latest article