কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শোভনদেবকে খড়দহের প্রার্থী ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

Must read

প্রতিবেদন : খড়দহ উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হবেন দলের বর্ষীয়ান নেতা তথা রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। আজ, বুধবার চেতলার অহীন্দ্র মঞ্চের কর্মিসভা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে একথা ঘোষণা করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খড়দহ উপনির্বাচন হলে শোভনদেববাবু যে সেখানে প্রার্থী হবেন তা একপ্রকার নিশ্চিত ছিল। এদিন তাতে সিলমোহর দিলেন খোদ দলনেত্রী। যদিও এই পর্যায়ে খড়দহ উপনির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা করেনি। এদিন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

একুশের নির্বাচনে ফল ঘোষণা হয়েছে ২ মে। আর ২১ মে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন ভবানীপুর কেন্দ্রের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী তথা রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়
। উপনির্বাচনে দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর পুরোনো কেন্দ্র ভবানীপুর থেকে জিতিয়ে আনার লক্ষ্যেই দলের নির্দেশে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজ্যের বর্তমান কৃষিমন্ত্রী।

আরও পড়ুন : ছাত্রদের বহিষ্কার অবৈধ ,বিশ্বভারতীতে উঠল অনশন

আর ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন ঘোষণা হতেই মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে প্রচারে নেমে পড়েছেন শোভনদেববাবু। কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নিজে হাতে দেওয়াল লিখছেন। এই বয়সেও নিজের ভোট প্রচারে সেই সময় যতটা লড়েছিলেন, সেই এনার্জি নিয়েই রাস্তায় নেমেছেন তিনি।

শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বা নেত্রী নন। তিনি গোটা ভারতবর্ষে বিজেপি বিরোধী মুখ। দেশের অনেক দল, অনেক বড় নেতা তাঁকে সামনে রেখে লড়াই করতে প্রস্তুত। তাই উপনির্বাচনে মমতা বন্দোপাধ্যায়কে রেকর্ড মার্জিনে জেতানোটাই আমাদের লক্ষ্য৷ এখন আগামী কয়েকদিন দিন-রাত এক করে মানুষের কাছে পৌছতে হবে। সেই কাজ আমরা শুরু করে দিয়েছি। মমতা ভবানীপুরের ঘরের মেয়ে। সকলে ওকে চেনে। এই ভবানীপুর থেকেই তাঁর রাজনীতি শুরু। আমিও এই ভবানীপুর থেকে রাজনীতি শুরু করেছিলাম। আমরা সকলে দলের সৈনিক। এই ভবানীপুরের কর্মী।”

আরও পড়ুন :  নিজের ক্ষেত্রেও দলের নীতি মেনে “এক ব্যাক্তি এক পদ” চেয়েছিলেন মমতা

চেতলার কর্মিসভা থেকে এদিন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের মার্জিন অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দেবে। বিরোধী প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। বিরোধীরা প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না। আসলে মমতার বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়াতে রাজি হচ্ছে না। যে কোনও দলের যে কোনও নেতা এখানে ভোটে লড়তে আসুন। বুঝবেন কত ধানে কত চাল। জামানত বাজেয়াপ্ত করতে না পারলে, এখানে সকলের সামনে কথা দিয়ে গেলাম রাজনীতি ছেড়ে দেবো।

Latest article