প্রতিবেদন : টাকা নিয়ে সংসদ ও বিধানসভায় বক্তৃতা, প্রশ্ন তোলা ও ভোটাভুটিতে অংশ নেওয়ায় অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা যাবে কি না, সে বিষয়ে রায় সংরক্ষিত রাখল দেশের শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার রায় সাময়িকভাবে সংরক্ষিত রাখার কথা জানিয়েছে সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ।
আরও পড়ুন-ইডি-সিবিআইকে তীব্র ভর্ৎসনা কড়া পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের ‘মামলা দু’মিনিটেই মুখ থুবড়ে পড়বে’
১৯৯৮ সালে শীর্ষ আদালতের রায়ে জানানো হয়েছিল, সংসদ বা বিধানসভায় টাকা নিয়ে নির্দিষ্ট বিষয়ে বক্তৃতা বা প্রশ্ন করার অভিযোগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সাংসদ-বিধায়কের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা যাবে না। কিন্তু গত ২০ সেপ্টেম্বর সেই রায় পুনর্বিবেচনার কথা জানান শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। অতীতের সেই রায় পুনর্বিবেচনার দায়িত্ব দেওয়া হয় সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চকে। আদালতে এই মামলার শুনানিতে কেন্দ্রীয় সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা ১৯৯৮ সালের সেই রায়ের সপক্ষে যুক্তি দেন। সংবিধানের ১০৫(২) ধারা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনও সাংসদ বা বিধায়ক সংশ্লিষ্ট আইনসভার অন্দরে কোন বিষয় উত্থাপন করবেন, কোন বিতর্কে অংশ নিয়ে বক্তৃতা করবেন বা কাকে ভোট দেবেন, তা আদালতের বিবেচনার এক্তিয়ারভুক্ত হতে পারে না।
আরও পড়ুন-শিলিগুড়িতে বন্যা পরিস্থিতি দেখার নাম করে নাটক করতে গিয়ে প্রবল গণবিক্ষোভের মুখে রাজ্যপাল
শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার এই মামলার রায় সাময়িকভাবে সংরক্ষিত রাখার কথা জানায় সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, পি ভি নরসিমা রাও প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটাভুটির সময় ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)-র কয়েকজন সাংসদ টাকা নিয়ে ভোট দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ওই মামলাতেই ১৯৯৮ সালে শীর্ষ আদালত অভিযুক্ত সাংসদদের ছাড় দিয়েছিল। কিন্তু ২০১৯ সালে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি আইনসভার অন্দরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কার্যকলাপের উপর ‘আইনি রক্ষাকবচ’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিষয়টি পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠিয়েছিলেন। তারই জেরে সাত বিচারপতির বেঞ্চে গিয়েছে রায় পুনর্বিবেচনার ভার।