প্রতিবেদন : ট্রফি ট্যুরের মাধ্যমে বেজে গেল ডুরান্ড কাপের দামামা। ১৬ অগাস্ট ফুটবলপ্রেমী দিবসে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বাঙালির চিরকালীন বড় ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে ঐতিহ্যশালী ডুরান্ড কাপ টুর্নামেন্ট। ১৯৮০ সালের ১৬ অগাস্ট ইডেন গার্ডেন্সে বড় ম্যাচ দেখতে গিয়ে মাঠেই প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৬ জন ফুটবলপ্রেমী। এর পর থেকে আর কখনও ওই দিন বড় ম্যাচ হয়নি। ৪২ বছর পর ওই দিন ডার্বি হতে চলেছে। ডুরান্ড কমিটিকে বিশেষ প্রস্তাব ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের। অকাল প্রয়াত ১৬ জন ফুটবলপ্রেমীর পরিবারের সদস্যদের ম্যাচ দেখার আমন্ত্রণ জানানোর প্রস্তাব দিয়েছেন ক্রীড়ামন্ত্রী। একই সঙ্গে ম্যাচের আগে এক মিনিট নীরবতা পালনের প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি। ক্রীড়ামন্ত্রীর প্রস্তাব বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে ডুরান্ড কমিটি।
আরও পড়ুন-একুশের মঞ্চে পাহাড়ের গান
১৩১তম ডুরান্ড কাপের গ্রুপ ও ক্রীড়াসূচি মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হল। আইএসএল, আই লিগ ও সেনার মোট ২০টি দলকে পাঁচটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। ‘বি’ গ্রুপে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ছাড়াও রয়েছে মুম্বই সিটি এফসি, রাজস্থান ইউনাইটেড এবং সেনা একাদশ। ‘এ’ গ্রুপে মহামেডান স্পোর্টিংয়ের সঙ্গে রয়েছে বেঙ্গালুরু এফসি, এফসি গোয়া, জামশেদপুর এফসি এবং গোকুলাম কেরালা।
আরও পড়ুন-দেউচার আদিবাসী শিল্পীরা আসছেন ২১শে
মঙ্গলবার ফোর্ট উইলিয়ামে সেনাবাহিনীর দুই কর্তাকে পাশে নিয়ে ট্রফি উন্মোচন করেন ক্রীড়ামন্ত্রী। এদিনই শুরু হয়ে গেল ডুরান্ড কাপের ট্রফি ট্যুর। প্রথমবার এই উদ্যোগ নেওয়া হল। গুয়াহাটি, ইম্ফল, জয়পুর হয়ে ৩০ জুলাই ট্রফি ফিরবে কলকাতায়। ডুরান্ডের ম্যাচ এবার কলকাতা ছাড়াও হবে গুয়াহাটি এবং ইম্ফলেও। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে উদ্বোধনী ম্যাচ এবং ফাইনাল। কলকাতায় কিশোর ভারতী এবং নৈহাটি স্টেডিয়ামেও হবে ডুরান্ডের ম্যাচ।