গঙ্গার আশেপাশে অনেক শহরাঞ্চল রয়েছে। এর ফলে গঙ্গা (Ganga) যাতে কোনভাবেই দূষিত না হয় তার জন্য কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন দফতর প্রত্যেক রাজ্যকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে। বলা হয় গঙ্গার তীরবর্তী সব শহরাঞ্চলে আধুনিক নিকাশি পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সুনির্দিষ্ট করতে হবে। এবার পশ্চিমবঙ্গে গঙ্গায় দূষণ ঠেকাতে মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। ২০৪২ সালের মধ্যে গঙ্গার তীরবর্তী শহরগুলিতে জনসংখ্যা ঠিক কতটা বাড়তে পারে তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দূষণ কমানোর বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত করতে কেএমডিএ পরামর্শদাতা সংস্থাকে শীঘ্রই নিযুক্ত করতে চলেছে। খুব তাড়াতাড়ি টেন্ডার ডেকে কাজ শুরু করা হবে বলে কেএমডি সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন-অভিনব উপায়ে এখন থেকে দেখা যাবে গঙ্গা আরতি
তরল বর্জ্য যাতে গঙ্গার জলে না মেশে তার ওপরেই জোর দেওয়া হবে।কেএমডিএ–র এক আধিকারিক এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, এই মাস্টার প্ল্যানের মধ্যে রয়েছে তীরে অবস্থিত শহরগুলিতে ড্রেনেজ এবং স্যুয়ারেজ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাকে সাজিয়ে তোলা এবং আরও উন্নত করা। কোথায় ট্রিটমেন্ট প্লান্ট বানাতে হবে, কোথায় কঠিন বর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে? গঙ্গার জল সংরক্ষণ ও নদী তীরবর্তী এলাকার উন্নয়ন কী ভাবে হবে? তার একটি রূপরেখা পাওয়া যাবে এই মাস্টার প্ল্যান থেকে। ভবিষ্যতে নদী তীরবর্তী এলাকায় উন্নয়নের কাজ করা হবে এই প্ল্যানের ভিত্তিতে।
আরও পড়ুন-‘ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে বাক স্বাধীনতার সঙ্গে কোনও আপস করা উচিত নয়’ মত রাজ্যপাল আনন্দ বোসের
রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এই মর্মে জানান, গঙ্গা দূষণ আটকাতে অনেক ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট বসানো হচ্ছে। এটা করলে সরাসরি নালার জল গঙ্গায় পড়বে না। আদিগঙ্গাতে এক ধরনের পদক্ষেপ করা হচ্ছে। কলকাতায় নিজস্ব মাস্টার প্ল্যান আছে। কিন্তু অন্যান্য পুরসভাগুলির ক্ষেত্রে সেটা নেই। তাই মাস্টার প্ল্যান থাকলে পরিকল্পনা অনুযায়ী সঠিক পথে কাজ করা যাবে।